কলকাতা

বিধানসভার অধিবেশন বসলেই আস্থা ভোট চাইবে বিরোধীরা

বিধানসভার অধিবেশন বসানোর জন্য একাধিকবার কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির পর লকডাউন এবং আতঙ্কের জেরে বসানো যায়নি বিধানসভার অধিবেশন‌। অল্প কয়েকদিনের জন্য এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিধানসভার অধিবেশন বসানো হয়েছিল। স্বল্পকালীন এই অধিবেশনে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হবে। বিরোধীদের প্রশ্ন, মিটিং-মিছিল, পরিবহণ ব্যবস্থা যখন স্বাভাবিক হয়েছে, তখন বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে আপত্তি কোথায়? নতুন বছরের সূচনাতেই অধিবেশন ডাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে তারা। বেশ কিছু জনস্বার্থ সংক্রান্ত ইস্যু রয়েছে, যেগুলি বিধানসভায় আলোচনা করার জরুরি বলে মনে করেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিধানসভার অধিবেশন বসলেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আস্থা ভোট চাওয়া হবে। অর্থাৎ শাসকদল তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতার ওপর আস্থা ভোট হবে। শাসক দলের বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করতে আস্থা ভোট চাইবে তারা। বিরোধীরা জানিয়েছে, দাবি মানা না হলে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হবে বিধানসভায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন। তিনি বলেন, ”তৃণমূল থেকে বিজেপিতে বহু বিধায়ক চলে গিয়েছেন। আরও বেশকিছু বিধায়ক চলে যাবেন বিজেপিতে। এই অবস্থায় আমরা চাইছি, ভাঙা ঘরের তৃণমূলকে দেখতে। যে সময়ে কংগ্রেস থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে তৃণমূল শক্তিশালী হয়েছিল, এখন শাসকদলের বিধায়ক ভাঙানোর পর কী অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল, তা আমরা দেখতে চাই। অধিবেশন শুরু হলেই স্পিকারের কাছে আস্থা ভোটের দাবি জানানো হবে।” সুজন চক্রবর্তী জানান, আস্থা ভোট হলে সরকার বিপর্যস্ত হবে। তাই তাঁরা আস্থা ভোটের পক্ষে। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সরকারের ভঙ্গুর দশা হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।