জেলা

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আজ নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর প্রথম রোড শো, আর তাঁর গড়েই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাকে কেন্দ্র করেই তেতে উঠল নন্দীগ্রাম। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের অন্তত ১০ জন কর্মীকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে নন্দীগ্রাম হাসপাতাল ও খেজুরি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বিজেপির আরও বক্তব্য, তাঁদের কয়েক জন কর্মীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিজেপির অভিযোগ, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভুতার মোড় এলাকায় বিজেপি সমর্থকদের একটি বাসে  হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। এই ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করতে হয়েছে। ইতিমধ্যে শুভেন্দুর মিছিল গন্তব্যে পৌঁছনোর পরেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার খবর প্রকাশ্যে আসে। এর পরেই উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা ভাঙা বাসটিকে টেঙ্গুয়া মোড়ে নিয়ে এসে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। পাশাপাশি, নন্দীগ্রাম থানাতেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। গত কয়েক বছর ধরে নন্দীগ্রাম বাজারে অবস্থিত হনুমান মন্দিরে সাড়ম্বরে পুজো করে আসছে স্থানীয় বজরং কমিটি। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে বজরং কমিটির মিছিলে পা মেলান। কিন্তু তার পর এ ভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নন্দীগ্রাম জুড়ে। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয় বিজেপির তরফে।এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘আমি শুনলাম আমাদের ১০ জনকে মেরেছে। তাঁদের অনেকের আঘাতই গুরুতর। যারা এসব করছে তাদের বলে দিচ্ছি, এর ফল কিন্তু ভুগতে হবে।’ শুধু তাই নয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও সমালোচনা করেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলব, নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুন। সময় কিন্তু বদলাচ্ছে।’