তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বেজায় খাপ্পা ‘নন্দীগ্রামের মা’ ওরফে ফিরোজা বিবি। তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘কুপুত্রর থেকে নিপুত্র ভালো’। কুপুত্র বলতে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকেই বুঝিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ করার পর নন্দীগ্রাম এখন বিধায়কহীন। আগামী বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ফিরোজা বিবিকেই প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সেব্যাপারে তাঁর সরোষ মন্তব্য, ‘এক সন্তানকে হারিয়ে হাজার সন্তান পেয়েছি। একজনের বিরুদ্ধে লড়তে হলে লড়ব। কে আমার সন্তান, কে বাপ, কে ভাই সেসব দেখার সময় নেই। আমি দিদির সঙ্গেই আছি।’ গত ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে মৃত ১৪ জনের মধ্যে ছিলেন ফিরোজা বিবির ছেলে শেখ ইমদাদুল। ২০০৯–এ বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁকেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তখন থেকেই তাঁর আরেকটা পরিচয় ‘শহিদের মা’ বা ‘নন্দীগ্রামের মা’ হিসেবে। বাম প্রার্থী পরমানন্দ ভারতীর বিরুদ্ধে ৩৯৮৫৯ ভোটে জিতেছিলেন ফিরোজা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে ফিরোজাকে জেতানোর পিছনে মূল ভূমিকা ছিল শুভেন্দুরই। তারপর থেকেই ফিরোজার সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক মা–ছেলের। ২০১১–র বিধানসভা ভোটেও ওই আসনেই জেতেন ফিরোজা। পরে সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু ওই আসনেই জিতে বিধায়ক হন। ছেলেকে নিজের জেতা কেন্দ্র ছেড়ে দলনেত্রীর কথায় পাঁশকুড়া পূর্ব আসনে দাঁড়ান ফিরোজা। সেখানেও মা–কে জেতার কান্ডারী ছিলেন ছেলে শুভেন্দুই। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুজনের কোনও কথা হয়নি। বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ফিরোজার