দেশ

‘সরকার বিভ্রান্ত করছে’, কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হলে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিলের হুঁশিয়ারি কৃষকদের

২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কিষাণ প্যারেড কর্মসূচি

৪ জানুয়ারির বৈঠকের আগে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড় হুঁশিয়ারি কৃষকদের। আলোচনা ব্যর্থ হলে অর্থাত্‍ আইন প্রত্যাহারে কেন্দ্র রাজি না হলে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে ট্র‌্যাক্টর মিছিল বেরবে, জানালেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। প্রায় ৪০ দিন বিতর্কিত তিন কৃষি আইন ‌বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ করছেন দেশের হাজার হাজার কৃষক। আগামী ৪ তারিখ সরকারের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। এই বৈঠকে কৃষকদের দাবি মানা না হলে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন গোটা রাজধানী জুড়ে “কিষাণ প‍্যারেড” করার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি একাধিক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কৃষকরা।শনিবার দুপুরে এক প্রেস কনফারেন্সে কৃষক নেতা ডঃ দর্শনপাল জানিয়েছেন, “আগামী ৪ জানুয়ারি সোমবার আমরা সরকারের সঙ্গে আরও বসছি। ৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়টির শুনানি হতে চলেছে। যদি কোনো সমাধানে পৌঁছানো না যায় এবং বৈঠক ব‍্যর্থ হয়, তাহলে ৬ জানুয়ারি হরিয়ানার কুন্ডলি-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাক্টর র‍্যালি করবো আমরা। ১৫দিন ধরে প্রতিবাদ করবো আমরা।” তিনি আরো বলেন, “২৩ জানুয়ারি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে রাজ‍্যপালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবো আমরা। ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টরে জাতীয় পতাকা নিয়ে দিল্লিতে একটি বিশাল সমাবেশ – “কিষাণ প‍্যারেড” করবো। দেশের সমস্ত সদর দফতরের বাইরে এদিন বিক্ষোভ করার আবেদন জানাচ্ছি আমরা।” আন্দোলনরত কৃষকদের অভিযোগ, ফসলের ন‍্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে সরকার তাঁদের বিভ্রান্ত করছে। গুরুনাম সিং চাধুনী নামের এক কৃষক নেতা বলেন, “সরকার আমাদের বিভ্রান্ত করছে… তারা বলছে এমএসপি বিলুপ্ত হবে না। কিন্তু আমাদের দাবি এমএসপি নিয়ে সরকার একটি আইন তৈরি করুক… এটা আমাদের অধিকার।”এই সপ্তাহের শুরুর দিকে সরকারের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন কৃষকরা। ইলেকট্রিসিটি বিল এবং খড় পোড়ানো আইন নিয়ে সরকার ও কৃষকরা সহমত হয়েছেন। যদিও কৃষি আইন বাতিল এবং এমএসপি নিয়ে সেদিনের বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।