কলকাতাঃ নিজেকে বরাবরই জনতার মাঝেই পছন্দ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেত্রী থাকার সময়েও যখন তখন ভিড়ে মাঝে মিশে যেতেন তিনি। বাংলার চালিকাশক্তি হয়ে ওঠার পরেও সেই অভ্যাস চলে যায়নি। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে এখনও হামেশাই তিনি মিশে যান মানুষের মধ্যে। বাংলার অগ্নিকন্যাকেও এই রকম ভাবেই দেখতে অভ্যস্থ বাংলার মানুষ। তাই বোধহয় তিনি জেলায় আসছেন জানলে পারলে মানুষ আজই দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তার দুইধারে তাঁকে দেখার জন্য। তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুড়ি মেলা ভার। আজ ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে একজন উপভোক্তা হিসেবে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের সচিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সব থেকে বড় কথা এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর ৬৫তম জন্মদিন। তা সত্ত্বেও এদিন তিনি নিজে এসে আর পাঁচজনের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করলেন তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। আজ দক্ষিণ কলকাতার হরিশ মুখার্জি রোডে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে একসারিতে দাঁড়িয়েই স্বাস্থ্যসাথী-র কার্ড নিলেন তিনি। নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার যে পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তা অভাবনীয়। সেই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে উৎসাহ দিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেলা পৌনে ১২টার সময় হরিশ মুখার্জি রোডের জয়হিন্দ ভবনের ক্যাম্পে উপস্থিত হন এবংসাধারণের সঙ্গে লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটি নেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি কোনও সাহায্য কোনওদিনও নিইনি। বেতনও নিই না। কোনওদিন নিইনি সাংসদ হিসেবে প্রাপ্য পেনশনও। অনেকদিন আগে আমার এক ভাই অমিত (অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাকে একটা স্বাস্থ্য বিমার কার্ড করিয়ে দিয়েছিল। লিমিট ছিল ৩ লক্ষ টাকা। সেটা দিয়েই আমার চলে যায়। স্বাস্থ্যসাথীর এই কার্ডটা আমি ‘স্মারক‘ হিসেবে আজীবন রেখে দেব। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নে সাংবাদিকদের এই খবর জানিয়ে বলেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্প সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গোটা রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে এই পরিষেবার আওতায় আনার জন্যই চলছে অভিযান।