কলকাতা

তৃণমূল আসার পর বাংলায় চাষিদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে, মিলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কৃষক বন্ধু’র সুবিধাঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

আজ ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের শহীদ দিবস। ২০১১ সালের এই দিনেই নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজের কাছে উদ্ধার হয়েছিল ভরত মণ্ডল, সেখ সেলিম-সহ মোট তিন জন গ্রামবাসীর দেহ। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই তাই নন্দীগ্রামের শহীদদের প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেন, তৃণমূল আজকের এই দিনে সম্মানের সঙ্গে শহীদদের স্মৃতিচারণ করছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর মানুষের পাশে সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। বাকি যাঁদের এখন সেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই গিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নাম উঠলে চন্দ্রিমা সাফ জানিয়ে দেন, শুভেন্দুর দাবির পাল্টা দেওয়ার প্রয়োজন তাঁরা মনে করছেন না। কারণ বাংলার মানুষ জানে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের জন্য কী কী করেছেন। ফলে কারও দাবিতে কিছুই আসে যায় না। ‘এদিন চন্দ্রিমা আরও একবার জানিয়েছেন যে, ২০১১ সালে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে। তাঁর কথায়, ‘অন্য রাজ্যে শস্য বিমার প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃষকদের। কিন্তু আমাদের এখানে রাজ্য সরকার এই প্রিমিয়াম দেয়। ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ হবে, এমনই বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু হিসেব বলছে, ২০২৮-এর আগে কখনওই কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ হবে না। এদিকে বাংলার কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে তৃণমূল আসার পর। ২০১১ সালে রাজ্যের কৃষকদের গড় আয় ছিল ৯০ হাজার। সেটা এখন ২ লাখ ৯০ হাজার হয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কৃষক বন্ধু স্কিম চালু করেছেন। সেখানে শুধু প্রান্তিক বা ছোট চাষি নয়, সবাইকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। একর প্রতি কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ১৮ বছরের থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষক মারা গেলে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এটাই আমাদের কৃষক বন্ধু স্কিম। এমন সুবিধা কেন্দ্রও দেয় না।’ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির পায়ের তলার মাটি ক্রমশ আলগা হচ্ছে বলেও এদিন দাবি করেন চন্দ্রিমা।

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/238589457658209