অনলাইন ক্লাস করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ট্যাব কেনার টাকা দিচ্ছে সরকার। এবার অনলাইন ক্লাসের হিসেবকে স্বীকৃতি দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও। বৃহস্পতিবার সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এমাসে পরীক্ষার এনরোলমেন্ট ফর্ম দেওয়ার সময় সেখানে অনলাইন ক্লাসের সংখ্যা লিখতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের ফিজিক্যাল ক্লাস সেভাবে হয়নি বললেই চলে, কিন্তু এনরোলমেন্ট ফর্মে হাজিরার হিসেব লিখতে হয়। সেই ফর্মের ভিত্তিতেই উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড আসে। তাই সেই জায়গাটি ফাঁকা না রেখে অনলাইন ক্লাসে পড়ুয়াদের হাজিরার হিসেব লিখতে বলা হয়েছে। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে, সব পড়ুয়া তো অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি। তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? যে-সমস্ত পড়ুয়া অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি তাদের ক্ষেত্রে ‘নট অ্যাপ্লিকেবল’ (এনএ) কথাটি লিখতে হবে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট হবু পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসের হিসেবটি প্রয়োজ্য নয়। তবে, এটাকে কিছুটা অপ্রয়োজনীয়ই মনে করছেন কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। তিনি বলেন, স্কুলগুলি নিজেদের ইচ্ছা বা সুবিধামতো অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। কেউ নিচ্ছে, আবার কেউ নিচ্ছে না। কারণ অনলাইন ক্লাস বাধ্যতামূলক করা হয়নি। আর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই হাজিরার জন্য কেউ আটকায় না। ৭৫ শতাংশ হাজিরা প্রায় কোনও পড়ুয়ারই থাকে না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের পড়ুয়ারা তো প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস ছাড়া আসতেই চায় না। তাদের হাজিরা বাড়িয়েই দেখায় স্কুল।