কলকাতাঃ অগ্নিদগ্ধ বাগবাজারের হাজার বস্তি এলাকায় পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। এ দিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাগবাজার এলাকায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে সবহারানো মানুষরা ব্যারিকেড ভেঙেই অবস্থাটা বুঝিয়ে বলতে এগিয়ে আসেন। মমতা ঘুরে দেখেন অগ্নিদগ্ধ বস্তির ছবি। তারপর সর্বশান্ত মানুষদের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাল যতক্ষণ আগুন না নিভেছে, ততক্ষণ আমি এলাকায় যোগাযোগ রেখেছিলাম। আগুন নেভার পরেই প্রশাসকরা এলাকা ছেড়েছেন ও আমি আমার অন্য কাজ করতে গেছি। দমকল বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক- সকলে মিলে কাজ করেছেন কাল। আগুন নেভানোর পরে আমাদের কাজ ছিল আপনাদের কোনও একটা জায়গায় ঠিক করে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করার। আমরা সেটাও করেছি। আজ-কাল গোটা এলাকা পরিষ্কার হবে। তার পরে কলকাতা পুরসভা সব আগের মতো করে দেবে। চিন্তার কারণ নেই। আমি আশ্বাস দিচ্ছি সকলকে বাড়ি বানিয়ে দেবে কলকাতা কর্পোরেশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের প্রতিনিধিদের বলেন, আপাতত চাল, ডাল আলু, বিস্কুটের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করতে হবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য। ববি হাকিম, শশী পাঁজাদের মমতা নির্দেশ দিয়ে বলেন, “প্রয়োজনীয় জামাকাপড়, কম্বলও দিতে হবে পুরুষ-মহিলা সকলকেই । আমরা ক্ষয়ক্ষতি বুঝে নিয়ে প্রত্যেককে যার যে জায়গা তাকে সেই জায়গায় থাকার বন্দোবস্ত করে দেবো। ভরসা রাখুন, আপনারা বিপদে পড়েছেন, আমরা পাশে আছি।” আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি মেয়রের ওপর, পুলিশের ওপর দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি, সবটা করে দেবে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’ ভিড়ের মধ্যে থেকে প্রশ্ন ওঠে, ‘দিদি রান্না করব কীসে?’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘যতক্ষণ সব না হচ্ছে আমরাই খাওয়াব। তার আগে অবধি সবাই বাগবাজার উইমেন্স কলেজে থাকুন।’ মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে, তাঁর অভয়বার্তা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হন বস্তিবাসীরা। ভস্মীভূত বস্তি পরিদর্শন শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন কার্যালয়েও যান। কথা বলেন মহারাজদের সঙ্গেও।