শনিবার সকালে ফেসবুক পোস্ট করে তৃণমূল কর্মীদের চাঙ্গা করার বার্তা দিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। পোস্টটির শুরুতেই রয়েছে ‘বীরভূমের নাগরিকদের প্রতি’ সম্বোধন। এর পর অভিনেত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী শতাব্দী লেখেন, ‘আজ একটি পোস্ট করব বলেছিলাম। এই লেখার মাধ্যমে আমার বক্তব্য জানাচ্ছি।’ অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা করে শতাব্দী লিখেছেন, ‘তৃণমূল পরিবারের প্রিয় নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। আমি সমস্যার জায়গাগুলি জানিয়েছি। তিনিও শুনেছেন এবং আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা ইতিবাচক। সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী। অভিষেকের মতো নেতা তৃণমূলকে শক্তিশালী করবে।’ এখানেই না থেমে আরও লেখেন শতাব্দী, ‘সামনে নির্বাচন। যাঁরা তৃণমূলের কর্মী বা নেতা, আমার মতোই তাঁদের কিছু ক্ষোভ বা বক্তব্য থাকতেই পারে। আমরা সেগুলি দলের মধ্যেই মেটাব। ভোটে জয়ের পর পর্যালোচনা করব। এখন সবাই হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করার সময়। আসুন সবাই মমতাদির নেতৃত্বে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলার স্বার্থে কাজ করি।’তাঁর নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরুর দিনগুলির কথা স্মরণ করেন তিনি। লেখেন, ‘আমি যখন তৃণমূলে এসেছিলাম তখন সিঙ্গুর আন্দোলন চলছে। দল ক্ষমতায় নেই। কঠিন সন্ধিক্ষণ। শুধু দলকে ভালোবেসে, মমতাদিকে ভালোবেসে আমি এসেছিলাম। আজ আবার যখন সবাই বঙ্গরাজনীতির সন্ধিক্ষণ বলছেন, তখন আমার দলের মঞ্চ থেকেই লড়াই করার কর্তব্য থেকে পিছিয়ে যাব না।’ শতাব্দী আরও লিখেছেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিচ্ছি। যেভাবে তিনি সমস্যা শুনেছেন, আলোচনা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তাতে আমি নিশ্চিত, তরুণ নেতাটি এখন যথেষ্ট দায়িত্বশীল ও পরিণত। নতুন প্রজন্মের এমন নেতার নেতৃত্ব দলকে শক্তিশালী করবে। তৃণমূল কংগ্রেস আবার জিততে চলেছে। আমি দলের সৈনিক হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করে যাব।’ পোস্টটির একেবারে শেষের দিকে এসে শতাব্দী সর্বস্তরের তৃণমূলকর্মীদের বার্তা দিয়ে লেখেন, ‘সেই সঙ্গেই আরও বেশি করে নিবিড়ভাবে থাকব আমার বীরভূমের মানুষের পাশে। ভালো থাকবেন। পাশে থাকবেন। সর্বস্তরের তৃণমূল পরিবারের সদস্যদের আবার বলছি, যদি কারোর কোনো ক্ষোভ থাকে, এতদিন যখন সেসব নিয়ে পথ চলেছি, এখন ভোটের মুখে প্রতিপক্ষের সুবিধে করে না দিয়ে, আসুন, বাংলার স্বার্থে আমরা গোটা তৃণমূল পরিবার এক হয়ে লড়াই করি।’
https://www.facebook.com/341396759269010/posts/5185229918218979/