মাওবাদীদের থেকেও ভয়ঙ্কর বিজেপি। জঙ্গলমহলে বিজেপি জিতলে ফের মাওবাদীরা মাথাচাড়া দেবে। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার জনসভা থেকে গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে কেউটে সাপের থেকেও বেশি বিষাক্ত বলে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এরা এতটাই বিষাক্ত যে এক ছোবলেই ছবি করে দেবে। গিলে নেবে, খেয়ে নেবে। বিরসা মুণ্ডা, সিধো-কানহোকে কোনওদিন সম্মান করেনি বিজেপি। ঝাড়খণ্ড কানহোর মূর্তি ভেঙেছিল, কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল। জঙ্গলমহলে এসে এক আদিবাসী শিকারির মূর্তি মালা দিয়ে বলল, এটাই বিরসা মুণ্ডা! মামাবাড়ি নাকি?” এর আগে এদিন বিরসা মুণ্ডা, পঞ্চানন বর্মার পর এবার সাঁওতালি কবি তথা অলচিকি ভাষার জনক রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনেও রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ মে এবার থেকে অলচিকি ভাষার জনক রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনেও রাজ্য সরকারি ছুটি থাকবে বলে মঙ্গলবার পুরুলিয়ার জনসভা থেকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে আদিবাসীদের আবেগকে মাথায় রেখে বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। তারপর উত্তরবঙ্গে রাজবংশী সম্প্রদায়ের দাবি মেনে পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনেও ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পুরুলিয়ায় সাঁওতালদের মন পেতে অলচিকি ভাষার জনক রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনেও ছুটি ঘোষণা করেন মমতা। এদিকে, এদিন ফের জনসভায় বক্তব্য রাখার মধ্যেই ফের মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাণীমিত্র-প্রাণীবন্ধু গোষ্ঠীর বেশ কিছু মহিলা প্রশিক্ষক নিজের দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির হন জনসভায়। সেখানে তাঁরা প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে নিজের স্থায়ী চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় প্ল্যাকার্ড দেখান। তাতেই সভার মাঝখানে মেজাজ হারান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “এভাবে কেন আপনার আমার সব মিটিংয়ে এসে হাজির হন আর মিটিং নষ্ট করেন? কে অধিকার দিয়েছে আপনাদের? এভাবে মিটিংয়ের মাঝে দাবি জানালে আমি কোনও ব্যবস্থা করতে পারব না। আপনারা চিঠি লিখে আমাকে জানান, ব্যবস্থা নেব। কিন্তু বারবার এভাবে আমার সভায় এসে বিরক্ত করলে আমি কিন্তু এবার অ্যাকশন নেব।” পরে মমতা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের বকলাম বলে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। আপনারা দাবিগুলি লিখে দিন, কথা দিচ্ছি না তবে চেষ্টা করব দাবিগুলি করে দেওয়ার।”