অবৈধভাবে জমি দখল করে রেখেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই ‘মিথ্য অভিযোগ’ প্রত্যাহার করতে হবে। দাবি জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ করলেন নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন। নোবেল জয়ীর হয়ে ‘স্যান্ডার্সন অ্যান্ড মর্গ্যান’–এর আইনজীবী ইতিমধ্যেই উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছেন। সে কথা উল্লেখ করে উপাচার্যকে একটি চিঠিও লিখেছেন অমর্ত্য। চিঠিতে অর্থনীতিবিদ লিখেছেন, ‘বিস্ময়কর অভিযোগটির সমর্থনে আপনি কোনও যুক্তি দেখাতে পারেননি। এখন বলছেন, ১৯৪০ সালে আমার বাবা বিশ্বভারতীর কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি লিজে যে জমি নিয়েছিলেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য আপনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রতীচীর জমি মেপে দেখার অনুরোধ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো হুমকি দিয়েছেন, অতিরিক্ত জমি দখল করে থাকলে, (আমার বিরুদ্ধে) আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’ তিনি এও মনে করেন, ‘স্পষ্টতই ৮০ বছরের পুরনো একটি দলিলের এমন অপব্যবহারের উদ্দেশ্য হয়রান করা বা তার চেয়েও খারাপ কিছু।’ লিজের অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমেল জমি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অমর্ত্য এ বিষয়ে স্পষ্ট বলেন, বাজার থেকে এই জমি তাঁর বাবা কিনেছিলেন। জমির রেজিস্ট্রিও হয়েছে। এজন্য প্রতি বছর পঞ্চায়েতকে করও দিয়ে থাকেন তিনি। অমর্ত্য লিখেছেন, ‘নতুন নতুন মিথ্যা সাজিয়ে নিজেদের অপরাধবোধ আর না–বাড়িয়ে, বিশ্বভারতীর উচিত আমার আইনজীবী যেমনটি বলেছেন, সেই মতো মিথ্যা অভিযোগগুলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা।’