কলকাতা

‘সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত, কাউকে আমন্ত্রিত করে বেইজ্জত করা উচিত নয়’, ক্ষুব্ধ হয়ে মাইক ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

মোদির সামনে পরাক্রমী মমতা!  ‘জয় শ্রীরামের’ পাল্টা ‘জয় বাংলা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে উঠতেই ‘জয় শ্রী রাম’ আর ‘মোদি মোদি’ ধ্বনি তুলে চিৎকার করতে থাকে সরকারী নিমন্ত্রিত দর্শকরা। এতো আওয়াজে তিনি কথা বলতে পার ছিলেন না। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মাইক ছাড়লেন। মাইক ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত। আমাকে আমন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কাউকে আমন্ত্রিত করে বেইজ্জত করা উচিত নয়। আমি তাই বলছি না। জয় হিন্দ। জয় বাংলা ‘।  আজ নেতাজীর নামে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি গ্যালারি উদ্বোধন করা ছাড়াও তাঁর নামে মুদ্রা প্রকাশ করার অনুষ্ঠান ছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমন্ত্রিত হিসাবে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলও। সেই অনুষ্ঠানেই ঘটে গেল বড়সড় বিতর্কিত ঘটনা যা নিয়ে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতেই দর্শকের মধ্যে থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান ওঠে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ভাষণ দেওয়া থেকে বিরত থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক অবশ্য আগে থেকেই বেঁধেছিল। অনুষ্ঠানের যে সূচী প্রকাশিত হয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখার জন্য ৪০ মিনিট সময় দেওয়া হলেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য মাত্র ৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন এই চূড়ান্ত বৈষমাই তা নিয়ে গতকাল থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, এই বিতর্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়তো অনুষ্ঠানে যোগই দেবেন না। কিন্তু এদিন ভিক্টোরিয়ায় যান মমতা। আর এরপর অনুষ্ঠানে এই ঘটনা। এখন অনেকেই মনে করছেন কার্যত রীতিমত আঁটঘাট বেঁধে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে! সব থেকে বড় কথা গোটা এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মৌন। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনাটি নিয়ে বড়সড় বিতর্ক তৈরি হয়ে গেল রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠে গেল, সরকারী অনুষ্ঠানে কেন উঠবে জয় শ্রীরাম শ্লোগান!