কলকাতা

শুভেন্দু ক্ষমা না চাইলে রাস্তায় নামার হুমকি শিল্পীমহলের

গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শাসক দলের নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়ছেন না শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিভিন্ন সভা থেকে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকেই বাদ রাখছেন না তিনি। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার হুগলি জেলার চন্দননগরের সার্কাস মাঠে বিজেপির এক জনসভায় যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই নাম না করে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এখানকার যিনি ছিন্নমূল বিধায়ক, তিনি যখন যে পার্টি ক্ষমতায় থাকে, তাদের ধরে থাকেন।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ইনি গায়ক-গায়িকাদের থেকে সঙ্গীতমেলায় কাটমানি নেন। আমাকে অনেক গায়ক-গায়িকা এ কথা বলেছেন।’ বিভিন্ন সময়ে দল বদলের পর থেকেই কাটমানি থেকে শুরু করে তোলাবাজি বারবারই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যকোন বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সেভাবে প্রতিবাদের সামনে শুভেন্দু অধিকারীকে সেভাবে পড়তে না হলেও। এবার কিন্তু বাদ সাধলেন স্বয়ং শিল্পীরাই। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার বাংলার সঙ্গীত শিল্পীরা। তাদের কাছে কোনদিন এরকম কোন প্রস্তাব আসেনি বলেও জানান তারা। পাশাপাশি এশুধু মন্ত্রীকে অপমান নয় সমগ্র সঙ্গীতজগতের অপমান বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। ‘সঙ্গীত মেলায় যতবার অনুষ্ঠান করেছি কোন কাটমানি কেউ নেন নি’ বলে মন্তব্য করেছেন সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। পাশাপাশি ‘যতবার পারফর্ম করেছি সম্মানের সঙ্গে পারিশ্রমিক পেয়েছি’ বলে মন্তব্য করেছেন সঙ্গীতশিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া, ‘শুধু বাংলা সঙ্গীতমেলা নয়, রাজ্য সরকার এবং তার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কোনও অনুষ্ঠানেই আজ অবধি কোনও কাটমানির এতটুকু আভাসও কেউ কখনও দেয়নি।’ বলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যেমে জানিয়েছেন গায়ক সুরজিত্‍ বন্দ্যোপাধ্যায়। এইভাবে বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীরা তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের। কিন্তু এবার শুধুমাত্র সমালোচনা করেই চুপ থাকতে রাজি নন শিল্পীরা। শুভেন্দু অধিকারী যদি প্রমাণ করতে না পারেন যে, ইন্দ্রনীল সেন কাটমানি নেন, তাহলে তাকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। নয়তো শিল্পীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন’ বলেও কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীরা। এই ঘটনায় কিছুটা হলেও যে ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।