অভিনেতা সৌরভ দাসের পর এবার ‘ইমপা’র সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত ও অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দিলেন। রবিবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যর মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাঁরা । তৃণমূলে যোগ দিয়ে পিয়া ও কৌশানি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই অনুপ্রেরণা, তাঁর সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই। তাঁদের মুখে শোনা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে পিয়া সেনগুপ্ত বলেন, ”আমি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক ও কর্মী হিসাবে। ছোট থেকেই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত। আমার বাবা অভিনেতা সুখেন দাস দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)কে ভীষণ স্নেহ করতেন, সম্মান করতেন। সেই সময় থেকে তাঁর সমস্ত কর্মযোগ্য দেখে বড় হয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের পাশে থাকতে দেখেছি। তৃতীয়বারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। অঙ্গীকার করছি আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। গতকাল (শনিবার) সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমানের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আরও একটা কথা বলতে চাই, অনেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অনেক কথা বলেন। আমি বলব, যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরই সমালোচিত হতে হয়। বিরোধিরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করছেন।” তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের মুখেও উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতি। তাঁর কথায়, ”আমার পেশায় অনেকেই হয়ত আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হন। আমি জানি ঘরে ঘরে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। আমি চাই আমাকে দেখে আরও তরুণ-তরুণীরা অনুপ্রাণিত হোক, দলে যোগ দিন। দিদি ২৪ ঘণ্টা মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন। মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিতীয়বার ভাবেন না। শুধু আমি নয় আমার পরিবারের সকলেই ওনাকে আদর্শ মানি। চারিদিকে টালমাটাল পরিবেশ। অনেকেরই প্রশ্ন রাজ্যে কোন দল সরকারে আসবে? আর তাই আমার মনে হয় সঠিক সময় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, যে দলকে আদর্শ মানি, যিনি আমার অনুপ্রেরণা, তাঁর কাণ্ডারি হওয়াটা আমার সৌভাগ্য।” নিজের প্রথম ছবি ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’র সুরে কৌশানি বলেন, ‘দিদি আমি তোমায় ছাড়তে পারবো না।’ সবশেষে কৌশনি বলেন, শুধু কথা বলতে নয়,কাজ করতে তৃণমূলে এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানাতেও ভুললেন না কৌশানি।