ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অঙ্গনে নেতাজি জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার প্রতিবাদে পথে নামছেন শিক্ষকরা। তাতে থাকতে পারেন শিক্ষামন্ত্রীও। আজ, সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল হবে। ধর্মতলায় তাতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর।শনিবার নেতাজি জয়ন্তীতে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যখন বক্তব্য পেশ করতে ওঠেন, তখন দর্শকদের মধ্যে থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া শুরু হয়। এর প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ না করেই মাইক ছাড়েন। বিভিন্ন মহল থেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ হয়েছে। অনেকেই বলছেন, নেতাজি জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ‘রাম’ নাম করে সেটাকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির মঞ্চ বানানো চূড়ান্ত অশোভন। বিরোধীদের দাবি, এটা পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে। এতে নেতাজিকে তো অপমান করা হয়েছেই, ভগবান রামের প্রতিও অমর্যাদা হয়েছে। তৃণমূল যে এই ইস্যু সহজে ছেড়ে দেবে না, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণায় তা স্পষ্ট হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ডাকে এই মিছিল হবে। সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, এত কম সময়ে ঘোষিত কর্মসূচিতেও ছ’-সাত হাজার শিক্ষক নিশ্চিতভাবেই অংশ নেবেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাদের কথা দিয়েছেন, তিনটে নাগাদ তিনি প্রতিবাদ মঞ্চে যোগ দেবেন। শিক্ষকদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা, পৃথক পরিচয়পত্র প্রদান সহ আরও কিছু পেশাগত দাবিদাওয়াও থাকবে।