আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ পেরোবে না তৃণমূল। বীরভূমের তারাপীঠে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আজ তারাপীঠ থেকে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে ভোটে তৃণমূলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ১০০-র নীচে ‘বেঁধে’ দিলেন তিনি।
সকালে অন্ডাল বিমানবন্দর হয়ে তারাপীঠ পৌঁছন নাড্ডা। তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে পৌঁছেই তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন। পরে জনসভায় মমতা সরকারকে ‘চাল চোর’-এর সরকার বললেন নাড্ডা। গত শনিবার কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু ও শিশির অধিকারীকে তোপ দেগেছিলেন অভিষেক। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেককে কটাক্ষ করে নাড্ডা বলেন, ‘এটা বাংলার সংস্কৃতি হতে পারে না।’ একসময় দুধ কুমার মণ্ডল ছাড়া অনুব্রতর গড়ে বিজেপির তেমন কোনও মুখ ছিল না। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরে সেই ছবি অনেকটাই পাল্টেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতা আসছেন এই জেলায়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনাথ সিং, যোগী আদিত্যনাথদের আসার কথা। পরিবর্তন যাত্রার অঙ্গ হিসেবে তারাপীঠ থেকে ঝাড়গ্রামে যান জে পি নাড্ডা। লালগড় মাঠের সভায় হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাহুল সিনহা। যদিও গেরুয়া শিবিরের এই লাগাতার অভিযানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী করার মুখ পাচ্ছে না বিজেপি সেকারণেই নাম জানাতে পারছে না। দিল্লি থেকে যতই নেতারা ছুটে ছুটে রাজ্যে আসুন বিজেপি কিছুতেই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তৃণমূল কংগ্রেসই ফের সরকার গড়বে বাংলায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেতা বলেছেন, পকেটে মিথ্যে কথা ভরে নিয়ে আসেন বাংলায়। তারাপীঠে জেপি নাড্ডার সভায় মাত্র ১ হাজার লোক হয়েছে দাবি করেছেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি। খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। না হলে লোক হতো নাড্ডার সভায়।