জেলা

খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড কওসরের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের সাজা

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত কওসরকে ২৯ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা আদালতের। এর পাশাপাশি বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডেও এই হামলার মাস্টারমাইন্ড শেখ কওসর ওরফে বোমারু মিজানের হাত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনে জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সি এনআইএ। দোষী সাব্যস্তের পর এদিন তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করলো এনআইয়ের বিশেষ আদালত। এই নিয়ে বোমারু মিজানকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে মোট ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৯ জন ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছে। ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে শেখ রহমতুল্লা, সইদুল ইসলাম ওরফে শামিম, মহম্মদ রুবেল, সাদিক ওরফে সুমন, হবিবুর ওরফে জাহিদুর ইসলাম এবং তারিকুল ইসলামের। ৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে আব্দুল হাকিম, রেজাউল করিম, হাবিবুল রহমান, শাহানুর আলম ওরফে ডাক্তার, নূর আলম, আবদুল ওয়াহাব মোমিন, নুরুল হক মণ্ডল, গিয়াসুদ্দিন মুন্সি, আমজাদ আলি শেখ ওরফে কাজল, এবং মফিজুল আলি। ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে গুলসানা বিবি, আলিমা বিবি এবং সাইকুল ইসলাম খানকে। এরা আগে কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত না থাকায় এবং মহিলাদের সন্তান ছোট হওয়ায় তাদের সাজার মেয়াদ কম রাখা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাকিল গাজি নামে একজনের। গুরুতর আহত হয় আব্দুল হাকিম নামে আরও এক ব্যক্তি। প্রথমে জেলা পুলিশ পরে সিআইডি এবং সব শেষে ঘটনার তদন্তভার নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআই। এতদন্তে উঠে আসে, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল মুজাহিদিনের যোগ রয়েছে। বিস্ফোরণের পরেই ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয় গুলসানা বিবি ওরফে রাজিয়া এবং আলিমা বিবি নামে দুই মহিলা। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। আইইডি বানাতে গিয়েই সেদিন বিস্ফোরণ ঘটেছিল বলে তদন্তে জানা যায়।