জেলা

ভোটের পর মমতা দিদিও জয় শ্রী রাম বলবেনঃ অমিত শাহ

কোচবিহারের পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জয় শ্রী রাম’ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অমিত শাহ । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফ ও স্পষ্ট হুঙ্কার, ‘ভোটের পর মমতাই জয় শ্রী রাম বলবেন।’ কোচবিহারের সভা থেকে এদিন একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানলেন অমিত শাহ। লক্ষ্যণীয় ভাবে সেই আক্রমণে যেমন জায়গা করে নিল জয় শ্রীরাম শ্লোগান নিয়ে মমতার আপত্তি তেমনি জায়গা করে নিয়েছে দুর্গাপুজো করার জন্য আদালতে মামলার ঘটনাও। এরই পাশাপাশি এদিন অমিত তাঁর ভাষণে ছুঁয়ে গিয়েছেন কোচবিহারে ধর্মসার্কিট গড়ে তুলে জেলায় পর্যটন শিল্পে জোয়ার আনার। এদিন অমিতের সফরসূচিতে কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল মদনমোহন মন্দিরে। সেখান থেকে আসার কথা ছিল রাসমেলা ময়দানে। কিন্তু অমিত আগে মেলার মাঠে জনসভায় এসে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন। তারপর দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ যান মদনমোহন মন্দিরে। এদিন অমিত তাঁর ভাষণে মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘মমতা দিদি এমন করছেন, যেন এ রাজ্যে জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ। কেন? জয় শ্রীরাম কি পাকিস্তানে বলা হবে? আপনি এমন করছেন, কারণ একটা বিশেষ সমাজের তোষণ করে তাঁদের ভোট পেতে চান। কেন? অন্য সম্প্রদায় কি ভোটার নন? বাংলায় দুর্গাপুজো করতে গেলে কি হাইকোর্টে যেতে হবে? এখানে এটা চলবে না মমতা দিদি। এখানে রমনবমীও হবে, সরস্বতী পুজোও হবে। কোচ-রাজবংশী, গোর্খা ভাইদের কাছে একটা আর্জি নিয়ে এসেছি। আপনারা শপথ নিন, এ বার পরিবর্তন আনতেই হবে। সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করুন, চলো পাল্টাই। তণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিন। পাঁচ বছরে আমরা বাংলাকে সোনার বাংলা বানিয়ে দেব। সুভাষবাবুর অনুষ্ঠানেও ঝগড়া করলেন মমতাদি। একটা সরকারি অনুষ্ঠান, সুভাষবাবুর সম্মানার্থে অনুষ্ঠানে সেখানে তো ঝগড়া না করলেই পারতেন! কিন্তু সেখানেই ঝগড়া করলেন মমতাদি।’ এর পরেই উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘মদনমোহন মন্দির ও কামতেশ্বরী মন্দির এবং পঞ্চানন বর্মার জন্মস্থল ঘিরে একটা টুরিস্ট সার্কিট গড়ে তোলা হবে। সারা ভারত থেকে পর্যটকরা আসবেন এখানে। মোদী সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এই মন্ত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। সব সমাজ, সব ধর্মের প্রতি সম্মান দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল আমলে রাজবংশীদের জন্য কিচ্ছু করা হয়নি। তাঁদের সংস্কৃতির সম্মান দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা কথা দিচ্ছি, ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে রাজবংশী সংস্কৃতি কেন্দ্র তৈরি করে দেব। ২৫০ কোটি টাকা দিয়ে পঞ্চানন বর্মার নামে স্মারক তৈরি করে দেব। এই অঞ্চলকে বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলবো। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ৫০০ কোটি খরচ করা হবে উন্নয়ন। মোদীজির জনপ্রিয়তাকে ভয় পান মমতাদি। মমতা শুধু ভাইপোর স্বার্থ হবেন। ভয় না পেলে ভাইপোকেই মুখ্যমন্ত্রী করতেন মমতাদি। বিজেপি এলে অনুপ্রবেশ রুখবে। মানুষ তো ছাড়ুন, একটা পাখিও ঢুকতে পারবে না। আপনারা একবার ভোট দিয়ে দেখুন ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।’