নবান্ন অভিযান ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করল মধ্য কলকাতা। শিয়ালদহ থেকে মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা যাওয়ার সময় পুলিশ ও ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ তৈরি হয়। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হতেই প্রথমে লাঠিচার্জ, ও পরে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। এসএন ব্যানার্জি রোডে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগনোর চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ।পুলিশি বাধা ভেঙে এগোতে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। ডোরিনা ক্রসিংয়ে আপাতত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। বাম ছাত্র-যুব মিছিলে লাঠিচার্জ চালানো হলে বেশ কয়েকজন যুববছাত্র আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উত্তেজিত ছাত্র সংগঠনকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে র্যাফ বাহিনী। এলোপাথারি ইটবৃষ্টিতে বেশ কয়েকজন ছাত্র জখম হয়েছেন। রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে তাঁদের ধরে নিয়ে যায় পুলিশকর্মীরা। অন্যদিকে বিশাল পুলিশবাহিনীর দিকে মারমুখী হয়ে লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসেন বাম সমর্থকরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে কমলালেবু , ফুটবল, মিষ্টি ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশের উচ্চআধিকারিকরা। রয়েছে বিশাল মহিলা পুলিশ বাহিনী, রাজ্য পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী। জানা গেছে, বামেদের অভিযান আন্দোলন মোকাবিলায় ফিল্ডে নেমেছেন নতুন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমও। অভিযানে সামান্য আহত হয়েছেন ডিসি রশিদমুনির খানও। তাঁর হাত কেটে গেছে।