অবশেষে প্রায় আড়াই বছর কারাবাসের পর অবশেষে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছাড়া পান লুইজেন অল হাথলাউল। মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াই করতেন তিনি, যার জন্য হাজতবাস হয় তাঁর। কিন্তু প্রকাশ্যে এসেছে, জেলখানায় থাকাকালীন তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল। সহবাস করতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এমনকি জেলের রক্ষীদের সঙ্গে বসে তাঁকে জোর করে পর্নোগ্রাফি দেখানো হয়েছিল। সিলিং থেকে ঝুলিয়ে তাঁকে মারধর, তাঁর শরীরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে অত্যাচার করা হত। এর আগে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সৌদিতে মহিলাদের গাড়ি চালানোর অধিকারের দেওয়া উচিৎ, এই দাবিতে সৌদিতে গাড়ি চালানো নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও
আরব আমিরশাহী থেকে সৌদি আরব পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু গাড়ি চালানোর অপরাধে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার হন লুইজেন। তার ৭৩ দিন জেল হয়। এরপর তিনি ফের গ্রেফতার হন ২০১৬ সালে। সৌদিতে পুরুষদের অভিভাবকত্ব থেকে মহিলাদের বার করে আনার জন্য প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তাঁর এই দাবির সপক্ষে ১৪ হাজার সইও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। যা তিনি সুলতান সলমনের কাছে পাঠান। কিন্তু এরপর গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে। ২০১৮ সালে তাঁকে অপহরণ করে সৌদিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর জেল হয়। সেই বছরই সৌদিতে মহিলাদের গাড়ি চালানোর অধিকার দিয়ে দেয় প্রশাসন। ২০২০ সাল পর্যন্ত জেলে ছিলেন লুইজেন। সেখানে থাকাকালীন তাঁকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হতো না। সেই কারণে অনশন শুরু করেন লুইজেন। টানা ৬ দিন অনুষ্ঠানের পর অবশেষে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান লুইজেন।