‘বেসুরো’ বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। একদিকে যখন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভা থেকে ইস্তাফা দিলেন সেই সময়েই বনগা উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা বিশ্বজিত দাস বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। বিশ্বজিত বলেন, ‘অমিত শাহের জনসভায় উপলক্ষে গিয়েছিলাম সেখানে মতুয়ারা অনেক প্রশ্ন করেছেন তাদের প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারিনি। মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।’ এরপরই নাম না করে শান্তনু ঠাকুর এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘বনগাঁর সংসদ দলকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মানছেন না। অথচ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে .আসলে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে গেলে সাধারণ মানুষ ভুল বুঝবেন দল তো সবাইকে নিয়ে।’ বিজেপি সূত্রে খবর শান্তনু ঠাকুর এর সঙ্গে বিশ্বজিতের সম্পর্ক বরাবরই আদায়-কাঁচকলায় সম্প্রতি তা আরো তিক্ততায় পৌঁছয়। এমনকি বৃহস্পতিবার অমিত শাহের জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বনগাঁ উত্তরের বিধায়ককে। এমনকি সভাস্থলে গেলে তাকে নাম না থাকায় প্রথমে ঢুকতে দেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। পরবর্তীকালে বিষয়টি কোনমতে সামাল দেওয়া গেলেও গোটা ঘটনায় চরম অপমানিত হয়েছেন বিশ্বজিত দাস। কয়েকদিন আগেই বিশ্বজিত দাস রাজ্য বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন। যার জেরে এবারে অমিত শাহের কোপের মুখে পড়েন তিনি। ঠকুরনগরে শুভেন্দু অধিকারীর অনুরোধেই তাঁকে সভাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয় বলে সুত্রের খবর। প্রথমে অমিত শাহের সভায় ঢুকতে না পেরে প্রায় আধঘন্টা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তবে মমতার পা ছুঁয়ে প্রনামের বিষয়টিকে বিশ্বজিত দাস ও সুনিল সিং স্রেফ সৌজন্য বলে দাবি করলেও তাদের উত্তর সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। এরপর মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে কথা বলেন বিশ্বজিত। কিন্ত তাতেও যে অমিত শাহ সন্তুষ্ট হননি তা ঠাকুরনগরের সভাতে বিশ্বজিতকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় স্পষ্ট।