উত্তরাখণ্ডে হিমাবহ বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৮। এই বিপর্যয়ের বিপদ এখনও কাটেনি। চলছে উদ্ধার কাজ। এরই মধ্যে আরও বড় বিপদের ইঙ্গিত পাচ্ছেন উত্তরাখণ্ডের চামোলির বাসিন্দারা। হিমবাহে ফাটল ধরার পর ঋষিগঙ্গা নদীর উপর তৈরি হয়েছে একটি অস্থায়ী হ্রদ। এই হ্রদের জলস্তর বৃদ্ধি হলে ঘনিয়ে আসতে পারে আরও বড় বিপদ, আশঙ্কা করছেন চামোলির রাইনি গ্রামের বাসিন্দারা। ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ানের তরফে জানানো হয়েছে, এই হ্রদের ভেঙে পড়লে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংকট আরও বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসতে পারে জলরাশি। কিন্তু রাজ্য সরকারের দাবি, হ্রদটি থেকে অল্প অল্প করে জল নির্গত হচ্ছে। ফলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা কম। এদিকে এই হ্রদটি ঋষিগঙ্গার গতিপথে বাধা সৃষ্টি করছে এক্ষেত্রে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘনিয়ে আসতে পারে আরও বড় বিপদ। ড্রোন দিয়ে এই হ্রদটির উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রানাওয়াত জানান, ঘটনায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অকারণে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। এদিকে, হ্রদটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্য সচিব ওম প্রকাশ। তিনি জানান, হ্রদটি থেকে জল নির্গত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কোনও বিপর্যয়ের সম্ভবনা অনেক কম। তিনি আরও বলেন ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। তাঁদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।