আজ কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রের ঢোলাহাট মাঠে পাল্টা বিশাল জনসভা করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মুখে মুখে এখন ‘ভাইপো’। যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগও উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। বঙ্গ সফরে অমিত শাহও আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন। এদিন পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক। বলেন, ‘ভাববাচ্যে কথা বলছেন কেন অমিত শাহ? উনি তো দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওনার অঙ্গুলিহেলনে ওঠাবসা করে ইডি–সিবিআই। তাও আমার নাম নিতে এত ভয়? আমি তো নাম নিয়েই বলছি, অমিত শাহ বহিরাগত, রাজনাথ সিংহ বহিরাগত, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। ইয়ে ডর অচ্ছা হ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে আরও শান দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে বিবেকানন্দকে ‘ঠাকুর’ বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন সেই প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন অভিষেক। বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতি জানে না। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলছে, বিবেকানন্দ ঠাকুর। দিলীপ ঘোষ বলছে, সহজপাঠ লিখেছে বিদ্যাসাগর। নেতাজি জন্ম জয়কতরেন্তীতে একজন বাঙালির মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করছে। এই লড়াইটা বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতাদের গুটখার থুথুতে বাংলায় জং ধরবে না। মে মাসে সব কটাকে প্যাক করে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেবে বাংলার মানুষ।’ অন্যদিকে রাম এবং দুর্গা নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক । আক্রমণে যেমন রামায়ণের প্রসঙ্গ এল, তেমন বিজেপি শাসিত রাজ্যে ধর্ষণের কথাও তুললেন অভিষেক। বললেন, মা দুর্গাকে অসম্মান করে দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিলেন, তিনি নারীদের সম্মান করেন না। মা দুর্গার প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্যেই বোঝা যায় কেন বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলারা আজও এত অত্যাচারিত এবং অপমানিত। অভিষেকের বক্তব্যে উঠে এল রামায়ণের অকাল বোধনের কথা। মা দুর্গাকে প্রসন্ন করতে নিজের এক চোখ দান করতে উদ্যত হয়েছিলেন রাম। সেই দুর্গাকে ছোট করে রামকেই সর্বেসর্বা প্রতিপন্ন করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, বললেন অভিষেক। তাঁর মতে, এর কারণ একটাই, বিজেপি কখনওই নারীদের সম্মান করতে শেখেনি। তাই উন্নাও, হাথরসের মতো ঘটনা ঘটে। মহিলাদের কীভাবে সম্মান করতে হয় তা ওদের শিখিয়ে দিল্লিতে পাঠাতে হবে। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, রামের চোদ্দপুরুষের বৃত্তান্ত জানি আমরা। কিন্তু দুর্গার তেমন কিছু জানা যায় না। এই বক্তব্যের পরেই ঝড় ওঠে।