আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগেই নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০ চালু করে মাইক্রোসফ্ট। লঞ্চের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই ওএসটি, কম্পিউটার ইউজারদের সেরা ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে আসছে। সেক্ষেত্রে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে মাইক্রোসফ্ট ডিফেন্ডার ব্যবহার করে নিশ্চিন্ত থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি যে তথ্য সামনে এসেছে তা জানার পর মাইক্রোসফ্ট ডিফেন্ডারকে ত্রুটিহীন তো বলা যায়ই না, পাশাপাশি এটির ইউজারদের মনেও দুশ্চিন্তার দেখা দিতে পারে! রিপোর্ট অনুযায়ী, হালফিল সময়ে এই সফ্টওয়্যারে একটি বড় বাগ চিহ্নিত হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এটি ১২ বছর ধরে উইন্ডোজ সফ্টওয়্যারে বাস করছে। আসলে, মাইক্রোসফ্ট ডিফেন্ডার যখন কোনো ম্যালওয়্যারের অংশ শনাক্ত করে, তখন সেটির ক্লিনিংয়ের সময় সিস্টেমে চলতে থাকা কোনো প্রোগ্রাম যাতে ক্র্যাশ না করে যায় সেদিকে নজর রাখে। কিন্তু এই ক্লিনিংয়ের দরুন কোনো দূষিত বা ম্যালওয়্যার ফাইল ডিলিট করা হলেও তৎক্ষণাৎ সেটির একটি রিপ্লেসমেন্ট উপলব্ধ হয়ে যায় এবং সিস্টেম সেই নতুন ফাইলটি যাচাই করে না। সেক্ষেত্রে এই ত্রুটিটিকে কাজে লাগিয়ে কোনো দুরাভিসন্ধী বা হ্যাকার-রা সহজেই সিস্টেম লিঙ্কগুলি সন্নিবেশ করতে পারে এবং সিস্টেম ড্রাইভারে ভুয়ো ফাইল ওভাররাইট করতে বা দূষিত কোড সম্পাদনা করতে পারে, এমনটাই বলা হয়েছে ‘এআরএস টেকনিকা’-র একটি রিপোর্টে। এই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, ‘সেন্টিনেলওন’ নামে একটি সাইবার সুরক্ষা সংস্থা প্রথম এই বাগটি আবিষ্কার করে। তবে আজ নয়, গত নভেম্বরে এই সমস্যাটি সংস্থার নজরে আসে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সিস্টেমের রিমোট অ্যাক্সেস করা ছাড়া এই ত্রুটির মাধ্যমে অন্য কোনো ক্ষতি করা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে দেরীতে হলেও এই সমস্যা চোখে পড়ায়, কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন ব্যবহারকারীরা। তাছাড়া, উইন্ডোজ তথা মাইক্রোসফ্টের তরফে জানানো হয়েছে যে তারা এই বাগটি নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এই কারণে ৯ ফেব্রুয়ারী একটি প্যাচ আপডেটও দেওয়া হয়েছে সফ্টওয়্যারটিতে। এই আপডেটে সমস্যা অনেকটাই মিটেছে বলে দাবি সংস্থার।