মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৫০ জনের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ২০ জন মহিলা এবং এক শিশু। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরে একটি যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস সিধি থেকে সাতনার দিকে রওনা হয়। বাসটিতে ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পাটনা গ্রামের কাছে বাসটি সেতু ভেঙে বনসাগর খালে পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটি খালের জলে সম্পূর্ণভাবে ডুবে গিয়েছিল। সিধির পুলিস সুপার জানিয়েছেন, আমরা ৫০টি দেহ উদ্ধার করেছি। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংয়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি তদারকিতে যান রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী তুলসীরাম শৈলওয়াত। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও। বনগঙ্গা প্রকল্পের আওতায় পড়ে এই বনসাগর খাল। প্রতিদিনই এই খাল দিয়ে জল ছাড়া হয়। বিপুল জলের জন্য উদ্ধারকারীরা বাসটিকে প্রথমে দেখতে পাননি। শিবরাজের নির্দেশে মঙ্গলবার জল ছাড়া সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। এর ফলে খালের জলস্তর কিছুটা নেমে যায়। তখন উদ্ধারকারীরা বাসটিকে দেখতে পান। অবশেষে দু’টি ক্রেনের সাহায্যে বাসটিকে খাল থেকে তোলা হয়। মধ্যপ্রদেশের সিধিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ট্যুইট, ‘সিধির বাস দুর্ঘটনা ভয়াবহ। শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজে স্থানীয় প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে।’ পরে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও জখমদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে। মৃতদের পরিবারবর্গকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।