বুধবার রাতে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম রাজ্যের শ্রমপ্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে। এই ঘটনার পরই আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গীপুর হাসপাতালে। শুরু হয় অস্ত্রোপচার। জানা গিয়েছে, রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ মন্ত্রীকে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাত্রা করে অ্যাম্বুলেন্স। তাঁকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা। জাকিরের আপ্তসহায়ক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মন্ত্রীর হাতের আঙুল বাদ গিয়েছে। হাত ও পায়ে গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রায় ১৫টি সেলাই পড়েছে। তবে সব মিলিয়ে মন্ত্রীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। চিকিত্সকেরা এখনও কিছুই বলতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করার পাশাপাশি তীব্র নিন্দাও করেছেন। ঘটনার সঠিক তদন্তের কথা বলে টুইট করেছেন রাজ্যপাল ধনকরও। সূত্রের খবর, বোমার
আঘাতে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মহিশাল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিত্সা চলছে। তাঁরাও মন্ত্রীর সঙ্গেই স্টেশনে যাচ্ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, নিমতিতা স্টেশন ষ্টেশনের দু’নম্বর প্লাটফর্মে আগে থেকেই বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। মন্ত্রী ওই সময়ে ট্রেন ধরতে স্টেশনে আসবেন। সেই তথ্য দুষ্কৃতীদের কাছে আগে থেকেই ছিল। তবে কী ধরনের বিস্ফোরক মজুত ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, অত্যান্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে আশেপাশের কাউকে বোমা ছুঁড়তে দেখা যায়নি। মন্ত্রীর পাশে থাকা এক সমর্থকের ডান হাত উড়ে গিয়েছে। বাকিরা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই পুরো এলাকা আরপিএফ, জিআরপি এবং পুলিশ ঘিরে রেখেছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। জাকির হোসেনের আহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, কিংবা অধীর চৌধুরী সকলেই।