নিজের দলের বিরুদ্ধেই চক্রান্তের অভিযোগ
নিজের দলের বিরুদ্ধেই চক্রান্তের অভিযোগ পামেলার। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। শনিবারে আলিপুর আদালতে যাওয়ার পথে বারংবার এই কথাই বলতে শোনা গেল কোকেন মামলায় ধৃত বিজেপির যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে। শুক্রবার নিউ আলিপুর থানা এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক কোকেন সহ গ্রেফতার হয় পামেলা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা প্রবীর দে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কোকেনের বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর শনিবার আলিপুর আদালতে পৌঁছে পামেলাকে বেশ জোর গলাতেই বলতে শোনা গেল, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি চাই সিআইডি তদন্ত হোক। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং যেন গ্রেফতার হয়। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে।” যদিও রাকেশ সিং এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ আনেন পামেলার বিরুদ্ধে। তার মতে, পামেলাকে দিয়ে এই সব কাজ করানো হচ্ছে।” মাদক সহ ধৃত বিজেপি যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামীকে নিয়ে তদন্তে কার্যত কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন পুলিশের তদন্তকারীরা। একজন সাধারণ নেত্রী হওয়া সত্বেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত হয়েই ঘুরতেন তিনি। এমনকী শুক্রবার তাঁকে বমাল সমেত পাকড়াও করার সময়েও বিজেপি যুবনেত্রীর সঙ্গে দুই সিআইএসএফ জওয়ান ছিলেন। ওই দুই সিআইএসএফ জওয়ান পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। ওই নেতার নির্দেশেই পামেলার নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিসের স্বার্থে বিজেপির ওই কেন্দ্রীয় নেতা সুন্দরী পামেলার নিরাপত্তায় নিজের দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করেছিলেন সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন পুলিশের তদন্তকারীরা।