জেলা

গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ৭০টি মামলা প্রত্যাহার, ভোটের আগে সিদ্ধান্তে মমতা প্রশাসনের!

রুংয়ের বিরুদ্ধে ৭০টি মামলা প্রত্যাহার। উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালে পাহাড়ে ব্যাপক অশান্তি হয়। সেই ঘটনায় রাজ্যের এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়। পাহাড় জুড়ে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগুন লাগানোসহ বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। তখন বিমল বিজেপির সহযোগী ছিলেন। রাজ্যের তৃণমূল সরকার বিমলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় অসংখ্য মামলা দায়ের করে। এমনকি বিমলের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় অর্থাত্‍ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা পর্যন্ত করা হয়। যদিও কয়েক মাস আগে শিবির বদল করে বিমল এখন তৃণমূলের ছাতার তলায়। এই পরিস্থিতিতে শনিবার এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল মমতার সরকার। বিমলের বিরুদ্ধে থাকা ৭০টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য, বিশেষ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইন দপ্তর এই সংক্রান্ত নির্দেশ পৌঁছে দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপারের কাছে। তবে বিমলের বিরুদ্ধে যে ইউএপিএসহ খুনের মামলা রয়েছে সেগুলি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। আইন দপ্তরের নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশ অবিলম্বে যেন এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন আদালতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই ব্যাপারে আবেদন করে। উল্লেখ্য সিআরপিসি’র ৩২১ ধারায় এই ব্যবস্থা আছে, যার সাহায্যে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে পারে রাজ্য সরকার। সেই ভাবেই এগোতে চাইছে রাজ্য।স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীদের অভিযোগ যেহেতু বিমল এখন তৃণমূল শিবিরে গিয়েছেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অসংখ্য মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।যদিও বিমল গুরুং বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোর্চা নেতা রোশন গিরি বলেছেন বিষয়টি নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই খবর প্রকাশ হতেই পাহাড় জুড়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।