আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ডাবল ইঞ্জিন সরকার স্লোগান নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের থেকে সব দিকে বাংলা এগিয়ে। এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন। এদিন সেই কথাই আরও একবার বললেন। তবে এবার তুলনা আরও জোরদার করতে সমস্ত তথ্য তুলে ধরলেন তিনি। ব্রাত্য বসু এদিন বলেছেন, ”’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় সামাজিক ও আর্থিক নবজাগরণ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ক্রমশ পিছিয়েছে। বাংলা কিন্তু এগিয়েছে। আমরা হিন্দিভাষী মানুষের পক্ষে। তবে এই ভয়ঙ্কর বিজেপি দলের বিরুদ্ধে। ২১-এ মমতার জয়ের মধ্যে দিয়ে ২৪-এ বিজেপির পতন সুনিশ্চিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধু জেতালে হবে না। ২৪-এ বিজেপির উত্খাতের রাস্তাও সাধারণ মানুষকে তৈরি করতে হবে।” এর পরই তথ্য তুলে ধরেন তিনি। বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার প্রশ্ন তুলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার সময় কী করেছে ওরা জানেই না। এখন বাংলায় করোনা থেকে সুস্থতা একশো শতাংশ। কোভিড রোগী একজনও নেই। শিশু মৃত্যুর হার মধ্যপ্রদেশে ৪৮ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে ৪৩। গুজরাতে ২৪। বাংলায় ২২ শতাংশ। রাজ্য ভিত্তিক মাতৃ-মৃত্যুর হার মধ্যপ্রদেশে ১৭৩ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো সংখ্যা। ১৯৭ শতাংশ। বাংলায় ৯৮ শতাংশ। গুজরাতে তো ডাবল ইঞ্জিন সরকার। কিন্তু সেই রেল চলে ধীর গতিতে। ডাবল ইঞ্জিন যাঁরা বলছেন তাঁদের এসব তথ্য দিতে চাই। সরকারি হাসপাতালে বেড- উত্তরপ্রদেশে ৭৬ হাজার। মধ্যপ্রদেশে ৩১ হাজার। কর্ণাটকে ৬৯০০০। গুজরাতে ২০,১২৭। বাংলায় ৮৫,৬২৭। টাটা ডাবল ইঞ্জিন, বাই বাই। কলকাতা সব থেকে নিরাপদ শহর। ২০১৯-এ উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের অপরাধের সংখ্যা সব থেকে বেশি। মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ উত্তরপ্রদেশে সব থেকে বেশি। তবে এখন বাংলাতেও এই সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আসলে এখন বাইরে থেকে লোক আসছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। আমাদের পুলিস নজর রাখছে।”