জেলা

‘বেটি পরায়া ধন হোতি হে’, মমতাকে ট্রোল করতে গিয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে বাবুল সুপ্রিয়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্রোল করতে গিয়ে নিজেই ট্রোল হলেন বাবুল সুপ্রিয়। সোশাল মিডিয়াতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নারী বিদ্বেষী দাগিয়ে সরব নেটিজেনরা। এদিন শাসক দলের স্লোগান ‘বাংলা তার মেয়েকে চায়’-এর বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। স্লোগানকে কটাক্ষের সুরে বিঁধতে গিয়ে পাল্টা একটি ফেসবুক পোস্ট করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তাতেই খেপেছেন নেটিজেনরা। ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে? বাবুল সুপ্রিয় তাঁর ফেসবুক পোস্টে মমতা ও অমিত শাহের ছবি-সহ হিন্দিতে লেখা একটা মিম শেয়ার করে। তাতে উল্লেখ, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন আমি বাংলার মেয়ে। তার জবাবে অমিত শাহ বলছেন, মেয়েরা পরের সম্পত্তি। এইবার বিদায় জানাবো।’ যার হিন্দি তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘বেটি পরায়া ধন হোতি হে। ইস বার বিদা কর দুঙি।’ আর এতেই বেড়েছে বিপত্তি। চরম ‘নারীবিদ্বেষী’ এই পোস্ট। এমন অভিযোগে সরব নেটিজেনরা। তাঁর পোস্টের স্ক্রিন শট শেয়ার করে অনেকে আবার বাবুলকে নেতৃত্বের পাঠ শিখিয়েছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আপনার নাকি দুটি মেয়ে আছে? তাও কীভাবে এরকম পোস্ট করেন?’ একজন নাম না করে বাবুলের উদ্দেশে লেখেন, ‘অশিক্ষিতরাও এঁদের কাছে লজ্জা পাবেন।’ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একেবারে যখন ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে সেই পোস্ট ঘিরে, তখন বিপাকে পড়ে সেটা সরিয়ে দেন বাবুল সুপ্রিয়। যদি সূত্রের খবর, ভোট আবহে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের ভর্ত্‍সনা মুখে পড়েই পোস্ট সরান আসানসোলের সাংসদ। এবং ঘন্টাখানেক পর আরও একটি পোস্ট করেন তিনি। পরে সেই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার পোস্ট ঘিরে অযথা বিতর্ক হয়েছে। এই পোস্ট আমার তৈরি নয়। ফেসবুকে গত কয়েকদিন ধরেই এই পোস্ট ঘুরছে। অন্যদিকে, বাবুল সুপ্রিয়র ওই টুইটের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন আরেক বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। দলীয় একটি সভার শেষে বাবুলের এই টুইট নিয়ে বিজেপি সাংসদকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি প্রথমে বলেন, ‘আমি এরকম কিছু দেখিনি।’ এরপর তিনি বলেন, ঘরের মেয়েদের অপরের সম্পত্তি মনে করেন না তিনি। বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে গেলে সেটাও তাঁর নিজেরই বাড়ি হয়। এহেন মন্তব্যে তাঁর যে সায় নেই, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন নেত্রী। তাঁর কথায়, ‘এরম কিছু কেউ বলে থাকলে আমি তা সমর্থন করি না। বিয়ের পড়েও বাংলার মেয়েরা তাদের মা-বাবার সন্তানই থাকে, ঘরের মেয়েই থাকে। পাশাপাশি যেই বাড়িতে বিয়ে হয়ে তারা যায়, সেখানেও সে ঘরের মেয়েই থাকে।’ ঘরে-বাইরে এমন চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত টুইটটি মুছে ফেলেন বাবুল।

https://twitter.com/SuPriyoBabul/status/1365634219616047109