মমতাদিদিকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন তেজস্বী যাদব। নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানান, পূর্ণ শক্তি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা সমর্থণ করব। যেখানে যেখানে আমাদের প্রয়োজন হবে আমরা সেখানেই তাঁর পাশে দাঁড়াব। বিজেপিরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, বাংলা অন্য জায়গা। এখানে ওরা কিছুই করতে পারবে না। এখন দেশ বাঁচাতে হবে, ভাইচারা বাঁচাতে হবে। দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিহারের যেসব মানুষ এখানে আছেন আমি তাঁদের কাছেও আবেদন করব যাতে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় মমতা দিদি যেভাবে কাজ করেছেন সেটা গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, বিহারেও তো ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কি করছে বিজেপি আর তাদের সহযোগী দল? আমরা আমাদের সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাবার চেষ্টা করব। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিহারে তো তেজস্বী যাদবের জেতার কথা ছিল। কিন্তু ওখানে গোলোযোগ করে তাঁকে জিততে দেওয়া হয়নি। আমি আশা করি তেজস্বী ওখানে আবার জিতবে। লালু প্রসাদ যাদবের সুস্থতাও কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে বলেন, ইচ্ছা করেই লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য ওনার বেঁচে থাকা খুব জরুরি। বিহারেও তো বিজেপি বলেছিল এই করবো, সেই করবো। কিন্তু করোনার সময় কত পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছে? এখানে এবারের নির্বাচনে এক একটা জেলার জন্য তিন-তিনবার ভোটের দিন করেছে। বিজেপি পার্টি যা বলেছে কার্যত তাই করে দিয়েছে কমিশন। আমি চাই না বিজেপি দল ইলেকশন কমিশনকে কন্ট্রোল করুক। এদিন বৈঠক শেষে তেজস্বী যাদব বলেন, বিহারের আমাদের জোট বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু আমার এখন আমাদের কাছে বিজেপিকে হারানো বেশি জরুরি। তার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে।
রবিবারই কলকাতায় পা রেখে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বার্তা দিয়েছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতাকে সামনে রেখেই চলবে আরজেডি। তাতেই বোঝা গিয়েছিল, এবারের ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন দিতে চলেছে লালুপ্রসাদের দল। পাশাপাশি এই গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল, হিন্দিভাষী কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্র আরজেডি-কে ছাড়তে পারে তৃণমূল। তবে এনিয়ে উভয়ের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, তা অজানাই। তেজস্বীর বক্তব্য, ‘বাংলায় অনেক বিহারি থাকেন। আপনাদের সকলের কাছে আমার আহ্বান, সকলে মমতাদিদির পাশে থাকুন, তাঁর হাত শক্ত করুন।’