কলকাতা

দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস

দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেসও। তৃণমূল ও বিজেপিতে যখন তারকা প্রার্থীর সংখ্যা লক্ষ্যণীয়ভাবে বেশি তখন কংগ্রেস ভরসা রাখল পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদের উপরই। এদিন মোট ৩৪ টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস। এবারও চাঁপদানি থেকে লড়ছেন আব্দুল মান্নান। এছাড়া সুজাপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ইশা খান, জলপাইগুড়িতে সুখবিলাস বর্মাকে। ২০১৬ সালের ভোটে যে সমস্ত প্রার্থীরা জিতেছেন তাঁদের প্রত্যেককে টিকিট দিচ্ছে কংগ্রেস। তবে একটি আসন, মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় প্রতীমা রজকের বদলে এবার প্রার্থী করা হয়েছে অধীর ঘনিষ্ঠ শীলাদিত্য হালদারকে। এছাড়া সব আসনেই আগের বারের প্রার্থীদের স্থান দেওয়া হয়েছে।বহরমপুরের প্রার্থী হয়েছেন মনোজ চক্রবর্তী, সিতাই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী কেশব চন্দ্র রায়, তুফানগঞ্জে প্রার্থী রবীন রায়, আলিপুরদুয়ারে দেবপ্রসাদ রায়, মাটিগাড়া নকশালবাড়িতে শঙ্কর মালাকার, ফাঁসিদেওয়াতে সুনীল চন্দ্র তিরকি, রানীগঞ্জে মোহিত সেনগুপ্ত, চঞ্চলে আসিফ মেহবুব, হরিশচন্দ্রপুরে আলম মোস্তাক, মালতীপুরে অলবেরুনি জুলকারনৈন, মানিকচকে মহম্মদ মোত্তাকিন আলম, মালদায় ভূপেন্দ্র নাথ হালদার, সুজাপুরে ইশা খান, ফারাক্কা মইনুল হক, সুতিতে হুমায়ুন রেজা, লালগোলাতে আবু হেনা, রানিনগরে শ্রীমতি ফিরোজা বেগম, কান্দিতে সৈফুল আলম খান, ভারতপুরে কমলেশ চট্টোপাধ্যায়, বেলডাঙায় শেখ সাফিউজ্জামান, বহরমপুরে মনোজ চক্রবর্তী, ক্যানিং-এ পশ্চিমে প্রতাপ মণ্ডল, বজবজে শেখ মুজিবর রহমান, হাওড়ায় মধ্যে পলাশ ভাণ্ডারি, শ্যামপুরে অমিতাভ চক্রবর্তী, আমতায় অসিত মিত্র, উদয়নপুরে আলোক কোলে, শ্রীরামপুরে আলোক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, সপ্তগ্রামে পবিত্র দেব, ধনেখালিতে অনির্বান সাহা, পুরসুরাতে মনিকা মল্লিক ঘোষ, হাসনে মিলটন রসিদ। পাশাপাশি আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (IFS) সঙ্গেও সমঝোতার ইঙ্গিত মিলেছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আজকেও নির্বাচনী জোটের বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কায়েমী স্বার্থ, স্বৈরাচারী শক্তি কখনওই চাইছিল না বাম-কংগ্রেসের এই জোট হোক। আসন সমঝোতা নিষ্পত্তি হয়েছে। কে কত আসন পেলাম, তা এখনই বলব না। তার একটাই কারণ, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট-এর সামনে আসা। যা নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করেছে। তাদের জন্য আমাদের কিছুটা জায়গা ছেড়ে রাখতে হচ্ছে।’ তিনি যোগ করেন, বাংলায় এবার বাংলায় দ্বিমুখী নির্বাচন হবে না, হবে ত্রিমুখী লড়াই।’