কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজ নাথ সিং, সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাবড় নেতাদের উপস্থিতিতেই সভায় হচ্ছে না ভিড়। যার ফলে রাজ্য বিজেপি নেতাদের প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন অমিত-নাড্ডারা। কীভাবে আসবে ২০০ আসন? প্রশ্ন গিয়েছে দিলীপ-মুকুলদের কাছে। কিন্তু সংগঠনে জোর দেওয়ার কথাই বললেও কোথায় সেই ভিড়। বাংলায় ফ্লপ হচ্ছে একের পর এক জনসভা। আর আজ সেই কথা মাথায় রেখেই কী বাতিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সভা? জল্পনা শুরু হয়েছে, আজ বাঁকুড়ার শালতোড়ায় জনসভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সফর বাতিল করেছেন মন্ত্রী। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, লোকসভায় সাংসদদের উপস্থতিতে বাধ্যতামূলকের হুইপ জারি করা হয়েছে। তাই তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ায় লোকসভায় উপস্থিত থাকতেই হবে তাই বঙ্গ সফর বাতিল করেছেন। তাতপর্য পূর্ণ ভাবে গতকাল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাসপুরের একাধিক এলাকায় জনসভা করেছেন, এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি কিন্তু প্রত্যেকের জনসভাতেই মাঠ রয়েছে ফাঁকা। এবার স্মৃতি ইরানির ক্ষেত্রেও সেটা হতে পারে জেনেই কী আগেভাগেই মান বাঁচাতে সভা বাতিল বিজেপির? প্রশ্ন ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে। একদিকে যেমন তৃণমূল তাঁর দলের সাংসদদের হুইপ দিয়েছেন লোকসভা কিংবা রাজ্যসভায় নয় বঙ্গের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে থাকতে হবে। মাঠে নেমে লড়াই করতে হবে। সেইমতো প্রচার সারছেন সকলেই। অপরদিকে আগামীকাল পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরুলিয়ায় ভাঙড়ার মাঠে আগামীকাল মোদির জনসভা। সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ সকালেই চলে আসেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন।