নন্দীগ্রামের একাধিক বাড়িতে ‘বহিরাগত’দের জড়ো করছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে সোমবার এই মর্মে নালিশ করল তৃণমূল। দলের তরফে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ডেরেকের অভিযোগে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার মোট ৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট ঠিকানা ও বাড়ির সবিস্তার বর্ণনা দিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের মূল বক্তব্য, বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে এই বাড়িগুলিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেশ কিছু দিন ধরে ওই সব বাড়িতে রয়েছেন। এমনকি, কোন এলাকা থেকে বহিরাগতদের আনা হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। স্থানীয় ভাবে পুলিশকে জানানো হলেও এ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে। ৪টি বাড়ির মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথে রেয়াপাড়া হাসপাতাল মোড়ে কালীপদ শী-এর বসত বাড়ির কথা। তৃণমূলের অভিযোগ, ডিসেম্বর মাস থেকেই দোতলা এই বাড়িতে ৩০-৪০ জন যুবক থাকছেন। তাঁরা কোলাঘাট, পিংলা, কাঁথি এলাকা থেকে এসেছেন। তাঁরা ১২টি বাইক নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। রয়েছে একটি গাড়িও। যেখানে অপরাধীদের ঘাঁটি গাড়তে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ চিঠির বয়ান হল এরকম –
প্রথম জায়গা : কালীপদ শীর বাড়ি
এটা দোতলা বাড়ি ৷ নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথে রিয়া পাড়া হাসপাতাল মোড়ের কাছে মেইন রোডের ডান দিকে পড়ে এই বাড়ি ৷ ডিসেম্বরের পর থেকে এখানে ৩০-৪০ জন যুবক বাস করছে ৷ এরা সবাই এসেছে কোলাঘাট, পিংলা, কাঁথি ও কন্টাই থেকে ৷ এরা ১০-১২টা মোটরবাইকে চড়ে ঘুরছে ৷ এদের কাছে গাড়িও আছে ৷ স্থানীয় একটি গাইডও দেওয়া হয়েছে এদের ৷ নিয়মিত এই জায়গায় যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷
দ্বিতীয় জায়গা : হরিপুরে মেঘনাথ পালের বাড়ি
এটা তিন তলা বাড়ি ৷ চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম রোড থেকে এক কিলোমিটার দূরে ৷ একটি ক্যানভাস দিয়ে বহুতলটি ঘেরা রয়েছে ৷ শুভেন্দু অধিকারীর এক নির্বাচনী এজেন্ট আরও ৪০-৫০ জনকে নিয়ে এখানে থাকেন ৷
তৃতীয় জায়গা : বোয়াল-১-এ পবিত্র করের বাড়ি
তেরোপাখিরা গ্রামে এটি দোতলা বাড়ি ৷ বহরমপুর, ঝাড়ুচরণ, নরসিংহপুর, জাতির্মল, পানিবিতান থেকে আসা প্রায় ২০-৩০ জন এখানে থাকছে ৷
চতুর্থ জায়গা : বোয়াল এমএসকে এলাকায় ভজহরি সামন্তের বাড়ি
বোয়াল এমএসকে এলাকায় ভজহরি সামন্তের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০-৩০জন ৷
যদিও ওই বাড়িগুলির মালিকরা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘বহিরাগত’ রাখার প্রশ্নই নেই।