জুন কখনও মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। কখনও বা মাজারে গিয়ে ফুল-চাদর চড়াচ্ছেন। আবার কখনও বা মাথায় ঘোমটা টেনে ধামসা মাদলের তালে নাচ করতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াকে। এককথায়, সোমবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ‘সম্প্রীতির’ যে নজির গড়লেন জোড়াফুলের তারকা প্রার্থী তাতে মুগ্ধ স্থানীয় মানুষরা। কথাতেই আছে, ‘জনতা জনার্দন খুশি, তো সব খুশি…।’ আর সেই প্রেক্ষিতেই বোধহয় তারকার এমন ঘরের মেয়ে সুলভ আচরণ দেখে আদিবাসী মহিলারা পা ধুইয়ে দিলেন জুন মালিয়ার । ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে অনেক আগেই। বাংলার অলিতে-গলিতে এখন একুশের নির্বাচনী আমেজ। ফ্ল্যাক্স, পোস্টার, দেওয়াল লিখনে এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়…! প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ঘাসফুল শিবিরের তরফে আদা-জল খেয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তারকারা। আসানসোলে সায়নী ঘোষ, কৃষ্ণনগরে কৌশানী মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা বন্দ্য়োপাধ্যায়রা যখন ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানে ঝড় তুলেছেন, তখন সেই তালিকা থেকে বাদ গেলেন না মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াও। কারণ, প্রতিপক্ষও হেভিওয়েট। স্থানীয় বিজেপি নেতা সমিত দাস। এলাকায় সংগঠক হিসেবে যাঁর বেজায় সুনাম রয়েছে। তবে সম্মুখ সমরে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত মমতার একনিষ্ঠ সৈনিক জুন। স্থানীয়দের বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে একেবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে ভোট প্রচার করলেন জুন। বুঝিয়ে দিলেন যে, মা-মাটি-মানুষই বাংলার আসল সম্পদ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে গিয়ে মমতা সরকারের প্রকল্পের কথা বললেন। গ্রাম বাংলার মা-বোনেদের কাছেও করজোড়ে ভোটপ্রার্থনা করতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁদের সুবিধে-অসুবিধের কথা শুনলেন। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে আদিবাসী এলাকায় ভোটপ্রচার করতে গিয়েছিলেন জুমন মালিয়া। সেখানেই চোখে পড়ল তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে ঘিরে আদিবাসী মহিলাদের উচ্ছ্বাস এবং আদর-যত্ন।