আগামী ১ এপ্রিল এই হেভিওয়েট কেন্দ্রে নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং সংযুক্ত মোর্চার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তার আগে জোরকদমে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচার করছেন মমতা। রবিবার দোল উৎসবের দিন চণ্ডীপুরে তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কী কী বললেন মমতা দেখে নিন একনজরে- সোহম অত্যন্ত ভাল ছেলে। ৩৬৫ দিন দলের হয়ে কাজ করে। তাই ওকে জিততে দেখতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে বন্দুকধারী গুন্ডা ঢুকিয়ে এনে ভোট করাচ্ছে। ওদের কথায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমরা খাওয়া, থাকার খরচ জোগাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ভোটারদেরই মারধর করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সম্মান করি। কিন্তু মনে রাখবেন, উত্তরপ্রদেশের যোগীজির মতো ভোট এখানে হবে না। মমতা ব লেন, দোলের দিন বিরক্ত করছি আপনাদের। ভোট দোলের মধ্যে পড়লে কী করব? নন্দীগ্রামে আপনাদের কাছেই ঘর ভাড়া নিয়েছি। ভোট পর্যন্ত থাকব। ভোট করিয়েই যাব। সোহম বহিরাগত নয়। ও বাংলার ছেলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মেয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহিরাগত নন। কাঁথিতে এমনি জেতার ক্ষমতা নেই বাপ-জ্যাঠাদের। সংখ্যালঘুদের বলি, হায়দরাবাদ থেকে এসে ভোট ভাগ করতে চাইছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গার সময় কোথায় ছিল? বাংলায় দাঙ্গা হয়নি। আমরা বাংলায় সম্প্রীতি বজায় রেখেছি।বিজেপির এক নেতা নাকি বলেছে, তিরিশের মধ্যে ২৬টা পাবে! ৩০-এর মধ্যে ৩০-ই বলুন না। রসগোল্লা খাবে, রস ছাড়া রসগোল্লা। আর চারটে বাকি রাখলে কেন, সিপিএম-কংগ্রেসের জন্য? তিনি এও অভিযোগ করেন, মানুষ আমাদের পক্ষে রয়েছে, যদি না থাকত তাহলে কাঁথিতে সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে কেন আমাদের ভোটারদের মারলে? মহিলারা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছে, ভোট দিতে দেয়নি ভগবানপুরে। মায়েদের অভিশাপ লাগবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কে এত ক্ষমতা দিয়েছে? বাংলায় থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ আমরা জোগাচ্ছি। আর এখানেই লাঠি চালাবে? কার নির্দেশে মেরেছে জানি। এ বার মারতে এলে হাতা-খুন্তি-বঁটি নিয়ে তেড়ে যাবেন। বুথ থেকে বার করে দিতে এলে বিদ্রোহ করবেন। এজেন্টরা পালিয়ে যাচ্ছ। মনে রাখবে, ক্ষমা করব না। কে টাকা নিচ্ছে, কার বাড়িতে ছড়াচ্ছে, সব জানি। এমনি জেতার ক্ষমতা নেই। কাঁথি-ভগবানপুরে কারা সমঝোতা করেছে জানি। কাঁথিতে টাকা ছড়াচ্ছিল জ্যাঠার ছেলে। ওটা কার টাকা? শুভেন্দুর নাম না করে মমতা বলেন, এত পেট্রোল পাম্প, ট্রলার, লঞ্চ, সমব্যায় ব্যঙ্কে এত টাকা কোথা থেকে এল? ভাবছো জানি না? জানি আমার দোষ। চিনতে পারিনি। ভালবেসেছিলাম। এখন বুঝতে পারছি কত ভয়ঙ্কর।আমি ভেবেছিলাম জলঢোড়া হবে, এরা তো দেখছি কালকেউটে, গোখরো। কী করে জানব এত ভয়ঙ্কর হবে ওঁরা! ১ তারিখে একটা করে ভোট দেবেন, আর বিজেপিকে মাঠের বাইরে বার করে দেবেন। একেবারে বোল্ড আউট করে দেবেন। মে আর একটা দোলযাত্রা হবে। ইভিএম খারাপ হলে চলে যাবেন না। মেশিন চালু হলে ভোট দিয়ে তবেই যাবেন। ভয় দেখাতে এলে, দু’টো হাত আছে তো? কষিয়ে থাপ্পড় দেবেন। আমি অন্যায় করলে আমাকেও দেবেন। যত ক্ষণ আমার জীবন থাকবে, আমি বিজেপি, সিপিএমকে ক্ষমা করব না। জগাই-মাধাই-গদাই একজোট হয়েছে। তৃণমূল একাই ১০০। আমার বিরুদ্ধে এক হাজার লোক বাইরে থেকে নিয়ে এসে বসে রয়েছে।