জেলা

‘খুন নয়, আত্মহত্যাই’, দিনহাটায় বিজেপি নেতা দেহ উদ্ধারে খুনের তত্ত্ব খারিজ করলেন বিবেক দুবে, রিপোর্টে স্বস্তিতে তৃণমূল

মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক, দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন, টিকিট না পেয়ে আরও বাড়ে

খুন বা রাজনৈতিক অশান্তিতে মৃত্যু নয়, দিনহাটার বিজেপি নেতা আত্মহত্যাই করেছেন। ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হলে তৎপর হয় কমিশন। কীভাবে মৃত্যু হল বিজেপি নেতার জানতে সাধারণ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে তদন্তের নির্দেশ দেয় তারা। সূত্রের খবর, ভোটের আগে শাসকদলকে কার্যত স্বস্তি দিয়ে রাজ্য কমিশনের তরফে নিযুক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এমনই রিপোর্ট দিলেন। অর্থাৎ পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেল। এখন এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে।গত বুধবার সকালে দিনহাটা শহর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি কার্যালয়ের লাগোয়া পশু চিকিৎসালয়ের বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রাতঃভ্রমণকারীরা। তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দিনহাটায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। পরে অবশ্য দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন দলীয় কর্মীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক উদয়ন গুহর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা।বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, খুন নয় আত্মহত্যাই করেছেন অমিত সরকার। দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে আরও বাড়ে। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন অমিত সরকার। রাতে বাড়ির অদূরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার পকেটে মিলেছিল একটি সুইসাইড নোট। সেখানে এক মহিলা বিজেপি কর্মীর আচরণ নিয়েও হতাশার কথা ছিল তাতে। অমিত সরকারের স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। অমিতের স্ত্রী তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি।