জেলা

‘সন্ধ্যা ৬টার পর আর বাইরের কাউকে ঢুকতে দেবেন না’, বার্তা মমতার

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার প্রচারের সময়সীমা। ঠিক তার আগে নন্দীগ্রামের বুকে দাঁড়িয়ে বাশুলিয়াচকের সভা থেকে একদম রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মতোই নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘সন্ধ্যা ৬টার পর বাইরের কাউকে ঢুকতে দেবেন না। শুধু ইনসাইডাররা থাকবেন, আর আমি থাকব। আমি ভোটার, আমাকে তো থাকতেই হবে।’ বলার অপেক্ষা রাখে না তিনি ঠিক কাদের নিশানা বানালেন এই বার্তা দিয়ে। যদিও ঘটনাচক্রে এখন তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীও নন্দীগ্রামেরই বাসিন্দা ও ভোটার। তাই তিনিও আর নন আউটসাইডার। ইনসাইডার হয়ে তিনিও থেকে যেতে পারবেন নন্দীগ্রামের বুকে। নন্দীগ্রামে যে ভোট প্রচারের শেষলগ্নে দুই পক্ষই প্রচারে ঝড় তুলবেন সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হয়েওছে তাই। কিবা বাম, কিবা ডান, কিবা গেরুয়া সব পক্ষই প্রচারে এদিন ঝড় তুলেছে। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই যে এবারে নন্দীগ্রামের বুকে মূল লড়াই মমতা আর শুভেন্দুরই। তৃণমূল আর বিজেপির। মীনাক্ষী বা বামেরা সেখানে কতখানি এই দুই পক্ষের সুবিধা বা অসুবিধা করে দেবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে এটাও ঠিক, শুভেন্দুকে জেতাতে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব যেভাবে বারবার নন্দীগ্রামে এসে সভা, র‍্যালি করে গিয়েছেন কোনও বাম নেতাও বোধহয় মীনাক্ষীর হয়ে এত প্রচার করেননি। আর তৃণমূলনেত্রী তো নিজেই তো কার্যত একাই একশো। ভাঙা পা নিয়ে হুইল চেয়ারে বসেই তিনি তাঁর প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বুকে। বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর হয়ে প্রচার করতে নন্দীগ্রামে কাউকে আসতে হবে না। কেননা তিনি এই বাংলারই মেয়ে, এখন নন্দীগ্রামই তাঁর নতুন বাড়ি। এদিন সেই নন্দীগ্রাম থেকে ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে তিনি প্রতি পদে পদে নাম না করেই বিঁধেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে কিন্তু কোনও বিধায়ক ছিল না। তাই আমি সেদিন দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। নন্দীগ্রাম এত দিল তোমায়, তুমি কেন আগেভাগে ছেড়ে চলে গেলে? ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারলে না?’ এমনকি নিজের পায়ের আঘাত নিয়েও তিনি নাম না করেই বিঁধেছেন শিশিরপুত্রকে। বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষকে দোষ দিই না। আমার পায়ে চোট করানো হয়েছে বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে। আমাকে মেরেছে। আমার পা জখম করেছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না। নন্দীগ্রামের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। বহিরাগত গুণ্ডাদের এনে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এখন দলের লোকেদের মারছে। আপনারা শান্ত থাকুন, কোনও অশান্তি করবেন না। কেউ অন্যায় করলে আমি আছি তো শাস্তি দেওয়ার জন্য।’