‘গোপন সূত্রে জেনেছি, প্রথম দু’দফায় হতাশাজনক ফলের আশঙ্কায় চিন্তিত মোদি-শাহ’
নন্দীগ্রামে নাকি হারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে নাকি আরও একটি আসন থেকে লড়ার সুযোগ খুঁজছেন। ১ তারিখ, নন্দীগ্রামে ভোট হয়ে যাওয়ার পর থেকে একাধিকবার এই দাবি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তার জবাব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট করেছে যে অন্য কোনও আসন থেকে তাঁর লড়াইয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, নন্দীগ্রামেই জিতছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে বিজেপির এই বক্তব্যে বিরাম নেই। শুক্রবার রাতেও অসম থেকে একই দাবি তুলেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা । এবার তার পালটা দিয়ে তৃণমূলের আরেক মুখপাত্র যশবন্ত সিনহা বললেন, ”মিথ্যের চর্চা চলছে বিজেপির অন্দরে। ‘মাইন্ড গেমসে’ আমাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করছি। সেসব ‘মাইন্ড গেমস’ রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।” শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে আরও বড় অভিযোগ তুললেন বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী, তৃণমূলের মুখপাত্র যশবন্ত সিনহা । এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি, পাঁচ রাজ্যে ভোট নিয়ে গতকাল অনেক রাতে আলোচনায় বসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও অনেকক্ষণ কথা হয়েছে সেখানে। প্রথম ২ দফার ভোটে তাদের ফল হতাশাজনক হতে চলেছে, এটা তারা বুঝেছেন। পরের ছ’দফাতেও যে খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারবেন, তাও টের পেয়েছেন। তাই মানসিক খেলায় মেতেছে গোটা গেরুয়া নেতৃত্ব।’ তিনি এও বললেন, ”প্রথম দু’দফার ভোটে ফলাফল যে খুবই নিরাশাজনক হবে, তা বুঝেছেই গভীর রাতে মোদি-অমিত শাহ-নাড্ডা মিলে বৈঠক করেছেন। হারবে বুঝে বিজেপি ইভিএম বদলের চক্রান্ত করেছে। আমরা তা রুখে দেব। আগামী ৬ দফা ভোটে ওদের ফল আরও খারাপ হবে।”অসমে ইভিএম বদল প্রসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে যশবন্ত বলেন, ”অসমে কী হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। রহস্যের কথা এই যে, যেখানে যেখানে বিজেপি-র মনে হচ্ছে যে তাঁরা ভোটে হেরে যাবেন, সেখানে সেখানেই তাঁরা ইভিএম বদলে দিচ্ছেন। যে যে নির্বাচনে বিজেপি কম ভোট পেয়েছে, সেই ইভিএমগুলি বদলে দেওয়া হবে। একটি ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে, এমন ঘটনা আরও ঘটবে। অসমেও হবে, বাংলাতেও হবে। তাই আমরা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যতক্ষণ না ইভিএম স্ট্রংরুমে বন্ধ করা হয়, ততক্ষণ সেখানে থাকতে হবে। যাতে কেউ রাস্তায় ইভিএম বদল করতে না পারে।’