বাংলায় এসে নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ বারবার বলেছেন, দু’শোর বেশি আসন নিয়ে এবার বাংলার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবিরের এই ‘স্বপ্ন’ অপূর্ণ থাকবে বলেই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । খানাকুল থেকে রবিবার তৃণমূল সু্প্রিমো বললেন, ‘আগে ৫০ টা আসন পান।’ লাগাতার পুলিশ বদলি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মমতা। তৃতীয় দফায় অর্থাত্ আগামী ৬ এপ্রিল খানাকুলে নির্বাচন। তার আগে রবিবার সেখানে জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে তিনি বললেন, ক্ষমতায় আসা তো দূর অস্ত, ৫০ টি আসনও পাবে না বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘আগে ৫০ টা আসন পান, পরে ২৯৪-এর স্বপ্ন দেখবেন।’ এরপরই একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুললেন মোদির বিরুদ্ধে। শনিবার হরিপালের সভা থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীকে কিষান সম্মান নিধির কৃষকদের তালিকা তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যের কর্মীদের কোনও নির্দেশ দিতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী।’ ভোটের মুখে একের পর এক আইপিএস অফিসার বদলি প্রসঙ্গে এদিন সরব হন মমতা। প্রশ্ন তোলেন, যাঁদের সরানো হচ্ছে, তাঁদের অপরাধ কী? তাঁরা কি দায়িত্বপালনের যোগ্য নন? এরপরই কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা মাফিক আইপিএসদের সরিয়ে বিজেপির দালালদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভোট জিততেই এই কৌশল করছে বিজেপি।’ এদিন ফের রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মমতা বলেন, ‘বিজেপি অনেকভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবে, তাতে গুরুত্ব দেবেন না। প্রয়োজনে মহিলাদের এজেন্ট করার পরামর্শ দেন তিনি। এমনকী ইভিএম পাহারার দায়িত্বও মহিলাবাহিনীর হাতে দেওয়ার কথা বলেন মমতা।