কলকাতা

তৃতীয় দফার ভোটে ১ হাজার ৮০২টি অভিযোগ, গ্রেপ্তার মাত্র ১১জন

দ্বিতীয় দফায় যেখানে রাজ্যে ১৬০০-র সামান্য বেশি অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেখানে তৃতীয় দফায় সন্ধে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ১,৮০২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অশান্তির ভোটে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কতটা নিস্ক্রিয় ছিল, তা গ্রেফতারের পরিসংখ্যানেই প্রশ্ন উঠছে! ভোটের নামে এসব হচ্ছেটা কী? প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলা প্রার্থীকে লাঠি-বাঁশ নিয়ে তাড়া করছে জনতা। কোথাও আবার পুলিশের সামনেই গলাধাক্কা দেওয়া হচ্ছে মহিলা প্রার্থীকে। যেখানে দ্বিতীয় দফায় যেখানে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২৮ জন সেখানে মঙ্গলবারের ভোটে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ১১ জন। যথারীতি তৃতীয় দফার ভোটকেও শান্তির ভোট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় দফার ভোটে চরম নৈরাজ্য আর অশান্তি চাক্ষুস করেছিলেন রাজ্যবাসী! অথচ ভোট শেষ হওয়ার পরে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বাবু সাংবাদিক সম্মেলনে এসে দাবি করেছেন, ‘কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ।’ তৃতীয় দফার ভোটে ১,৮০২টি অভিযোগ কমিশনের কাছে জমা পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সি ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে ১৯৯টি, এনজিএসের মাধ্যমে ১,৩৪৭টি এবং সিএমএসের মাধ্যমে ২৫৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অশান্তি পাকানোর দায়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডের উপরে হামলার দায়ে ৫ জন, খানাকুলে তৃণমূল প্রার্থীর উপরে হামলার অভিযোগে ৪ জন ও উলুবেড়িয়া দক্ষিণে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির যে ঘটনা ঘটেছে তাতে অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। গোঘাটে বিজেপির গুণ্ডাদের ধাক্কায় তৃণমূলের বুথ সভাপতির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘বুথ সভাপতির শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’