কলকাতার মিন্টো পার্কে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অমিত শাহ। অমিত শাহ বলেন, কলকাতা হবে দেশের সাংস্কৃতিক রাজনীতি। তিনি আরও দাবি করেন, একটা সময়ে সিঙ্গাপুরের ডেভেলপমেন্ট মডেল ছিল কলকাতা। এই শহর সিটি অফ জয় তো থাকবে। কলকাতা সিটি অফ ফিউচারও হবে। কলকাতার পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে। কলকাতাকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ সিটি করারও ডাক দেন শাহ। ৭০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি। শাহ জানান, কলকাতাকে সাজিয়ে শহরের সব গলিতে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। দাবি, তার ফলে কমবে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। এর পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্তব্যের পাল্টা জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাহিনী নিয়ে মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। ওনার জানা দরকার সিআরপিএফ এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে নেই।’ এদিন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের হয়ে প্রচার শুরুর আগে কলকাতার উন্নয়নে বিজেপির প্রতিশ্রুতি পত্র নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ জানান,’১০টি বহুতল-বিশিষ্ট পার্কিং-এর জায়গা তৈরি করা হবে। ১৫০০ কোটি টাকা দিয়ে স্বচ্ছ কলকাতা ফান্ড তৈরি করা হবে। ১ হাজার কোটি টাকার রানি রাসমনী নদী বিকাশ প্রকল্প করা হবে, যা দিয়ে হুগলি নদীর সংস্কার করা হবে। কলকাতাকে ইউনেস্কো হেরিটেজ শহরের তালিকায় আনার জন্য আমরা চেষ্টা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাংলার সংস্কৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।নোবেল প্রাইজের আদলে টেগোর প্রাইজ ও সত্যজিত্ রায় অ্যাওয়ার্ড চালু করা হবে। গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা।’ এছাড়াও গতকাল গভীর রাতে, চেতলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ভবানীপুরে প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন অমিত শাহ।