জেলা

‘হোম মিনিস্টারের নির্দেশেই গুলি চলেছে শীতলকুচিতে’! বাহিনীর গুলি চালনার কাণ্ডে রুদ্রমূর্তি মমতার

কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার ঘটনায় এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেই আঙুল তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবনের প্রান্ত দেশ থেকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, হোম মিনিস্টারের নির্দেশেই গুলি চলেছে শীতলকুচিতে। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিলেন, তিনি বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ে যে অভিযোগ করে আসছিলেন সেটাই কার্যত এদিন প্রমাণিত হইয়ে গেল যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষকে ভয় দেখিয়ে বিজেপির পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করছে। তাঁরা সাধারন মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। হুমকি ধমকি দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকেই এর জবাব দিতে হবে। এদিন হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি আক্রমণ শানেন গেরুয়া বাহিনীকে। বলেছেন, ‘সিআরপিএফ আজ শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে চারজন মানুষকে মেরে দিয়েছে। সকালেও একজনকে গুলি করে মেরেছে। আমি প্রথমদিন থেকেই বলে আসছি সিআরপিএফ আমার শত্রু নয়। কিন্তু হোম মিনিস্টারের কথায় যে চক্রান্ত চলছে আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে আজকে চারজনকে গুলি করে মেরে দিয়েছে সিআরপিএফ। যারা লাইনে দাঁড়িয়েছিল ভোটাররা। এত ঔদ্ধত্য হয় কোথা থেকে? এত অত্যাচার আসে কোথা থেকে? বিজেপি জানে বিজেপি হেরে গিয়েছে এবং হেরে গিয়েছে বলে এখন ভোটারদের গুলি করে মারছে। কর্মীদের গুলি মারছে। লজ্জাও করে না। আমি তবু মানুষকে বলব আপনারা শান্ত থেকে নির্বিঘ্নে আপনারা ভোট পালন করুন। কেউ কোনও অশান্তির মধ্যে যাবেন না। মনে রাখবেন যারা অশান্তি করে তাঁরা রাক্ষসের দল আর যারা শান্তি রক্ষা করে তাঁরা মানুষের দল। মানুষের দলকে মানবিকতা দিয়ে জয় করতে হবে।’ এর পরেই মমতা নাম না করেই আক্রমণ শানেন নির্বাচন কমিশনকে। কার্যত তাঁদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কী দোষ করেছিল এরা? তুমি চাও বিজেপি ভোটে জিতুক। তুমি কে? মানুষ ঠিক করবে আমি কাকে ভোট দেব না দেব। অমিত শাহ কেন বলবে তাঁর এজেন্সিকে তুমি গিয়ে গিয়ে মেয়েদের ভয় দেখাও, মেয়েদের ওপর অত্যাচার করো, গিয়ে বলো ভোট দেবে না, গুলি করে লোক মেরে দাও। লজ্জা করে না তোমাদের? এর বদলা নিতে হবে। এর বদলা একটা করে ভোট। নাহলে ওদের আত্মার শান্তি হবে না। আবার মেরে দিয়ে বলছে সেলফি ফিনিশ। ছিঃ ছিঃ ছিঃ লকজ্জা হওয়া উচিত। এতগুলো মানুষকে মেরে দিয়ে বলে কিনা সেলফ ডিফেন্স। রিটায়র্ড লোক হয়ে বিবেক এখানে বসে আছে, লজ্জা করে না? বিবেক দুবে হু আর ইউ? উনিশ সালের ভোতেও আপনি ছিলেন। আমি আপনাকে কোয়েশন করছি। আমার জায়গা থেকে যদি রিটায়ার্ড অফিসার বাদ হয় তাহলে আপনাদের জায়গা থেকে কেন রিটায়র্ড অফিসার ভোট পরিচালনা করবে? পঞ্চায়েত ভোটে আত লোক মারা যায়নি। আজ আমার হাতে নেই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নিয়েছে। ১২জন তৃণমূলের নেতা খুন হয়েছে। কী করছে এরা? প্রায় ১৭-১৮জন খুন হইয়ে গেল একটা ইলেকশানকে কেন্দ্র করে লজ্জা করে না?’ বস্তুত রাজ্য রাজনৈতিক মহল এদিন শীতলকুচির ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।