শীতলকুচির ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইচ্ছে থাকলেও কমিশনের বিধি মেনে ভোটের দিন তিনি কোচবিহার ঢুকলেন না। পরিবর্তে সাংবাদিক বৈঠত করলেন শিলিগুড়িতেই। গুলি চালানো নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাফাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “বলছে আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে, কে আহত হয়েছে দেখাও! ” প্রসঙ্গত এই শীতলকুচির সভার দিনেই রাজ্যে পা রেখেছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শীতলকুচিতে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে মোদি বলেন, বহু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট করে। নির্বিঘ্নেই ভোট সম্পন্ন হয়। এখানে দিদি ক্রদ্ধ কারণ তাঁর দলের লোক দুর্বৃত্তায়ন করতে পারছে না। মমতা জবাব দিলেন অক্ষরে অক্ষরে। তাঁর প্রশ্ন, উনি কেন গেলেন না ঘটনাস্থলে? পাশাপাশি মমতা বললেন, “উনি এত বড় ঘটনায় ক্লিনচিট দিয়ে দিলেন! এটা তো পাপ।” তিনি বললেন, “চক্রান্তকারী অমিত শাহ। কোচবিহারে পুলিশ সুপার বদলেছে। ” ক্ষমতায় এসে শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি তদন্ত হবে। শনিবার শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে এই কথাই জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত তৃণমূলের তরফ থেকে কমিশনে পাঠানো চিঠিতেও কমিশনের অঙ্গুলিহেলনে শেষমুহূর্তে পুলিশ সুপার বদলের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, এই ঘটনার সিআইডি তদন্ত। তাঁর আশঙ্কা সিবিআই-এর হাতে গেলে এই ঘটনার প্রমাণ লোপাট হতে পারে। তাঁর কথায়, “এভিডেন্স যেন থাকে। আমি সিআইডি এনকোয়ারি করবই।” বহুদিন ধরেই সিআরপিএফ, সিআইএসএফ -এর অপব্যবহার নিয়ে সরব তৃণমূল। মমতা দফায় দফায় বলেছেন, আধাসামরিক বাহিনী ভয় দেখিয়ে ভোট করাচ্ছে। তাঁর ঘেরাও মন্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছে। কিন্তু মমতা তাতে দমেননি, বলেছেন গণতন্ত্রের স্বার্থে এই কথা বলছেন তিনি। আজ যখন সেই আধাসামরিক বাহিনীই গুলি চালাল শীতলকুচিতে, মমতার স্পষ্ট অভিমত, রাজনৈতিক কারণে এসব করা হচ্ছে। কী ভাবে ভোট হচ্ছে সবাই দেখছে।