কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্যরাজ্যনীতি। ভোটের দিন ঘটে যাওয়া ওই মর্মান্তিক ঘটনাকে ইতিমধ্যেই ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রতিপক্ষকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে হুমকির বাধ ভেঙে ফেলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার বড়নগরে দলীয় প্রার্থী পার্নো মিত্রের সমর্থনে জনসভা থেকে দিলীপ হুমকির সুরে বলেছেন, ‘বাড়াবাড়ি করলে জায়গায়-জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ আর এরপর থেকে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ভোটের মাঝে কী করে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এহেন মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে জোর কদমে আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূলও। তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাতে আর্জি জানানো হয়েছে, শেষ চার দফায় দিলীপ ঘোষের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আর্জিও জানানো হয়। কমিশনের কাছে রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, বিজেপি নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে লেখা চিঠি লিখে তৃণমূল দাবি করেছে, ‘শীতলকুচিতে নৃশংস, ঠান্ডা মাথায় চার নিরীহ মানুষকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা করার পরিবর্তে বাকি নির্বাচনে একইরকম ‘হিংসা’ চালানোর জন্য ‘উৎসাহ’ দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। যে ভোটাররা ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেআইনি কাজ বা আচরণের প্রতিবাদ করতে যাবেন, এই মন্তব্যের মাধ্যমে তাঁদের আদতে প্রত্যক্ষ হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। তৃণমূলের আও অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য থেকেই ইঙ্গিত মিলছে, শীতলকুচিতে হিংসার ঘটনায় আদপে মদত দিয়েছিল বিজেপি’ই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গের একজন ‘তারকা প্রচারকের’ (নাম করা হয়নি) নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই ‘হিংসা’ কার্যকর করেছিল বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।