চার দফাতেই একশ আসন জয়ের কথা বলে পঞ্চম পর্যায়ের ভোটের আগে বর্ধমানের জনসভা থেকে তৃণমূলের উপর চাপ বাডা়লেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, ‘হাফ ভোটেই সাফ তৃণমূল। চার দপাতেই সেঞ্চুরি পার করেছে বিজেপি। বর্ধমানের চাল ও মিহিদানা খুব বিখ্যাত। আপনাদের স্বভাব, কথা বলা সহ সব কিছুতেই ভরপুর মিষ্টি ভাব রয়েছে। দিদির নাকি বর্ধমানের মিহিদানা পছন্দ নয়। আমি অবাক! কেন দিদি? দিন দিন ওনার রাগ, ক্রোধ বেড়েই চলেছে। ওনার রাগ বাড়ছে কারণ বাংলাতে অর্ধেক ভোটেই তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে দিদি বোল্ড আউট। চার দফাতেই বিজেপি সেঞ্চুরি করেছে।’ মোদি এও বলেন, ‘দিদির তৃণমূল কোম্পানির দায়িত্ব ভাইপোকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু দিদির এই খেলার জনতা বুঝে গিয়েছে। দিদির খেলা ভেস্তে গেছে। কারণ, দিদির পুরো টিমকেই বাংলার মানুষ ময়দান থেকেবার করে দিয়েছে। দিদির লোকেরা বাংলার তফশিলি, দলিতদের গালাগাল করছেন। ওনাদের ভিখারী বলা হচ্ছে। ১৪ এপ্রিল আম্বেদকর জন্মজয়ন্তী। কিন্তু তার আগেই দিদি তার এতবড় অপমানের কোনও প্রতিবাদ করলেন না। কেউ ভাবতে পারেনি বাংলার মাটিতে এই কথা বলা হবে।’ মোদি আরও বলেন, ‘দিদি তফশিলি লোকেদের অপমান করে আপনি ঠিক করেনি। আপনি পাপ করেছেন। রাজা রামমোহন রায় দেশকে দিশা দেখিয়েছে, তার বাংলায় দলিতদের এমন কথা বলেছেন। শ্রী শ্রী হরিজন ঠাকুর বাংলায় আওযাজ তুলেছে, তার বাংলায় এমন কথা উঠছে! দিদি দলিতদের অপমান করে আপনি সবথেকে বড় ভুল করেছেন। বাংলার লোক এটা ভুলবে না। সবাই মনে রাখবে এটা। দিদি একবার গেলে আর ফিরবেন না। দিদির ঘনিষ্ঠরা বলেছেন বিজেপিকে ভোট দিলে বাইরে ফেলে দেবে। ওনার এক মন্ত্রী একথা বলছেন। দিদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের কর্মীদের উসকাচ্ছেন। দিদি আপনার রাগের কারণ থাকলে আমার উপর দেখান। আমাকে গালি দিন। কিন্তু দিদি শুনে নিন, বাংলার অপমান করবেন না। আপনার তোলাবাজ, আপনার সিন্ডিকেট সিস্টেম বাংলা কোনদিন ভুলবে না। বাংলা আজ সোনার বাংলার সাথে আছে। বাংলায় দরকার নেই দিদি-ভাইপোর দুঃশাসন, হিংসার খেলা। বাংলায় চাই আসন পরিবর্তন। এই ১০ বছরে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বাংলায় দিদির কুশাসন চলেছে। সরকারের নামে গড়বড় করেছে। বাংলার দিদি ও ওনার ঘনিষ্ঠরা গরীবদের কাছে পৌঁছানো সব কিছু লুঠে নিয়েছে। দিদি পুলিশকে পার্টির কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। জন্মদিন করতে হলে তৃণমূলকে জিজ্ঞাসা কর। ঘর বানাতে, রেশন আনতে সব কিছু তৃণমূলকে কাটমানি দিতে হবে।’ মোদি বলেন, ‘কোচবিহারে যারা মরেছেন, তারাও কোনও মায়ের ছেলে ছিলেন। কিন্তু মমতার নীতি কত মায়ের থেকে ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে। এই নির্বাচনে আমরা শোভা মজুমদারকে হারিয়েছি। দিদির গুণ্ডারা শোভা মজুমদারকেএমন মেরেছিল, সেই ছবি এখন সামনে থেকে হারিয়ে গিয়েেছিল। বিহার পূর্ণিয়া জেলার এক মা ও ছেলের চিতা একসঙ্গে জ্বলবে। মায়ের মৃত্যু ছেলের মৃত্যুর শোকে হয়েছে। এই পুলিশ অফিসার নিজের কর্তব্য পালনে বাংলরা মাটিতে এসেছিল। কিন্তু এখানে পিটিয়ে পিটিয়ে ওই পুলিশের হত্যা করেছে। দিদি ওই মহিলাই কি আপনার মা নন।’
‘২ তারিখ দিদি গেলেই প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান বিধি নিয়ে আসবে বিজেপি সরকার।’
‘বিশুদ্ধ জল পৌঁছানোর জন্য যে টাকা পাঠিয়েছিল, সেটা ব্যবহার করা হয়নি। বাংলায় সুরক্ষা, শিল্প চাই। বাংলার উন্নয়নে নির্বাচন সবাইকে ভয়মুক্ত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’