এতদিন পরিচালক পার্থসারথি জোয়ারদারের পরিচালনায় বহু বাংলা ছবি দর্শক দেখেছেন। এবার দর্শকদের একটি হিন্দি ছবি উপহার দিতে চলেছেন তিনি। যদিও এর আগে হিন্দি শর্ট ফিল্ম বানিয়েছেন তিনি। তবে বৃহৎ পরিসরে হিন্দিতে এই প্রথমবার ছবি করতে চলেছেন পার্থসারথি জোয়ারদার। ছবির নাম ‘অগর তুম মিল যাও’। ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুবের কে খান , শ্রদ্ধা তিওয়ারি (পায়েল), নীল মতওয়ানি (আরভ), রাজেশ শর্মা (বিবেক, পায়েলের বাবা) সহ থিয়েটার জগতের বহু অভিনেতা। ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পার্থসারথি জোয়ারদার স্বয়ং ৷ ছবিতে জুবেরের চরিত্রের নাম বিক্রম। সে আসাম থেকে শহরে আসে। রাজেশ শর্মা ছবিতে যাকে দেখা যাবে বিবেক বাবুর চরিত্রে। এই বিবেক বাবুর বাড়িতেই আশ্রয় নেয় বিক্রম। কিছুদিন সেখানে থেকে আর্ট কলেজে ভর্তি হতে চায় সে। বিবেক বাবুর দুই মেয়ে। বিক্রমের তাদের বাড়িতে থাকা নিয়ে ঘোর আপত্তি করে বিবেক বাবুর দুই মেয়ে। তাদের মতে বাড়িতে দুজন যুবতী থাকতে একটা ছেলেকে কেন আশ্রয় দিল তাদের বাবা। বিবেক বাবুর বড় মেয়ে পায়েল প্রথম দিন থেকেই বিক্রমের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু বিক্রমের পায়েলকে ভাল লেগে যায়। মনে মনে পায়েলকে ভালোবাসতে শুরু করে বিক্রম। পায়েল সেটা বুঝতে পেরে বিক্রমকে আরও বেশি অপমান করতে শুরু করে। পায়েল বলে, তার স্বপ্ন তার সঙ্গে যার বিয়ে হবে সে হবে একদিকে সুদর্শন, অন্যদিকে ধনী। তার জীবন হবে কোনও স্বপ্নের রানির মতো। এমন একজন মানুষ পায়েলের জীবনে এসেও যায়। তাঁর নাম আরভ। এই আরভের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নীল মতওয়ানি। আরভ এক্কেবারে পায়েলের মনের মতো। আরভ, অনেক মেয়েরই ক্রাশ। আরভের সঙ্গে পায়েলের মেলামেশা শুরু হয়। সম্পর্ক গভীর হয়। ঘনিষ্ঠ হয় তারা। একদিন পায়েল বুঝতে পারে সে প্রেগনেন্ট। ভয় পায়। আরভ কে জানায়। আরভ খুশি হয়ে বিয়ের দিন ঠিক করতে বলে। ওদের বিয়ের দিন ঠিক হয়। এদিকে পায়েল এবং আরভের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে কষ্ট পায় বিক্রম। বিক্রম আসামে ফিরতে চায়। কিন্তু বিবেক বাবু তাঁকে আটকায়। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত বিক্রমকে ছাড়তে চায় না বিবেক। যন্ত্রণা বুকে চেপে বিক্রমই বিয়ের আয়োজন করতে থাকে। বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসে, আরভের কোনও খবর পাওয়া যায় না। পাগলের মতো সবাই আরভ কে খুঁজতে থাকে। হঠাৎ একদিন টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে আরভের মুখ। সবাই হতবাক। কোথায় আছে আরভ? পায়েলের জীবনে কি ফিরবে সে? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে‘অগর তুম মিল যাও’ মুক্তির পরেই। ‘বার্লিয়া ফিল্মস’-এর ব্যানারে আরতি বিজয় সিংঘালের প্রযোজনায় আসছে এই ছবি। কবে ছবিটি মুক্তি পাবে তা নিয়ে কোনও আভাস দেননি পরিচালক। তাঁর কথায়- “পরিস্থিতি আবার খুব জটিল। কবে নাগাদ রিলিজ করতে পারব জানি না। তবে, আগে হলে রিলিজ করাব। তারপর ওটিটি-র কথা ভাবব। এটা আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট। অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল হিন্দি ছবি করার। হয়ে উঠছিল না। এবার হল।” পার্থসারথি জোয়ারদারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুব খুশি জুবের এবং শ্রদ্ধা। জুবের এবং শ্রদ্ধা দুজনেই হিন্দি ছবি এবং সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ। তাঁদের দুজনের একই কথা- “এত সহজে কাজটা হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। পার্থ স্যার নিজের মতো করে কাজটা করিয়ে নিলেন আমাদের দিয়ে।” ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সঞ্চয়িতা জোয়ারদার। গান লিখেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য। ডিওপি মলয় মণ্ডল। শিল্প নির্দেশনায় মুকেশ সিং। কস্টিউম করেছেন মীরা আগরওয়াল। ক্রিয়েটিভ তরুণ সিং।