শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রচারে ৪৮ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পয়লা বৈশাখ সকালে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতেই ফের স্বমহিমায় বিজেপি নেতা তথা হাবরার প্রার্থী রাহুল সিনহা। এদিন একটি সভা থেকে রাহুল সিনহা বলেন, ‘বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে গতকাল স্পষ্ট বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর যদি হামলা হয় তাহলে গুলি চলবেই। আমি যে কথা বলেছিলাম, সে কথাই বলেছেন বিবেক দুবে।’ এরপর রাহুল সিনহা আরও বলেন, ‘আমি তো আবার বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর যদি কেউ হামলা করে, জওয়ানদের কাজে যদি কেউ বাধা দেয়, তাহলে গুলি চালানোই উচিত। তাতে কে বাঁচল, কে মরল তা দেখার দরকার নেই।’ শীতলকুচির ঘটনা সম্পর্কে রাহুল সিনহা বলেন, ‘ওখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন চার জনকে গুলি করে মারল, কেন আট জনকে মারল না, এই জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শো-কজ করা উচিত।’ এই মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে উঠে আসার পরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে কমিশন। কিন্তু সময়সীমা পার হতেই ফের স্বমহিমায় রাহুল সিনহা। রাহুলের এদিনের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন, হাবরার তৃণমূল প্রার্থী তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘রাহুল সিনহা বোঝাতে চাইছেন, তাঁকে নির্বাচন কমিশন কিছু করতে পারবে না। কমিশনের উচিত ভোট পর্যন্ত ওঁর পুরো প্রচার বন্ধ করে দেওয়া।’