কলকাতা

করোনার জের, সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০টায় করা যাবে না ভোটের প্রচার

বাকি তিন দফাতেও ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার শেষ করার নির্দেশ

ভোট প্রচারে লাগাম লাগলো নির্বাচন কমিশন। সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০টায় করা যাবে না ভোটের প্রচার। ভোটের নির্ধারিত দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে প্রচার শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় কমিশন। আগে যা ছিল ৪৮ ঘণ্টা। আগামী ৩ দফা নির্বাচনে এই নিয়ম লাগু হবে। এদিন রাত থেকেই কমিশনের নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে। যার ফলে এদিন ভবানীপুরে দলীয় প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার কথা থাকলেও তা কমিশনের নির্দেশিকা মেনে বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একাধিক কর্মসূচিও বাতিল হয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে করোনার বেলাগাম সংক্রমণের কথা ভেবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা ঠিক করতে এদিন বালিগঞ্জের বেদি ভবনে রাজ্যের ১০টি স্বীকৃত দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। বৈঠকে শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। সংযুক্ত মোর্চা ও বিজেপির পক্ষ থেকে শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো হয়। এমনকী ভার্চুয়াল সভার প্রস্তাবেও আপত্তি জানান বিজেপি প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করা যুক্তিযুক্ত হবে না। অবশিষ্ট দফাগুলির জন্য নিয়ম পরিবর্তনেরও কোনও মানে হয় না। এখন ভার্চুয়াল প্রচার নিয়েও আমরা রাজি নই। প্রথম থেকে যদি তা হত, আমাদের আপত্তি ছিল না।’ তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সিরা মানুষের জীবনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এক দফায় ভোটের পক্ষে সওয়াল করেন।’ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, ‘শেষ তিন দফার ভোটগ্রহণ যদি এক দফায় করা হত, তবে মানুষের জীবন অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকত বলে আমরা মনে করি। তাই কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা কমিশনকে শেষ ৩ দফার ভোট এক দিনে করার আর্জি জানিয়েছি।’বিজেপির মতো সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে বিকাশ ভট্টাচার্যরাও একসঙ্গে তিন দফার ভোট করার বিরোধিতা করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তা আমরা মেনে নেব। কিন্তু আমরা পরিস্কার বলেছি, এক সঙ্গে ভোট না করার জন্য। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ভোট করানোর কথা বলেছি।’