প্রায় প্রতিদিনই পশ্চিমবঙ্গে নিয়ম করে ভোট প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া জেলায় জেলায় সমাবেশ করছেন বিজেপিকে নবান্নে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে। তার মধ্যেই শনিবার সরকারি অফিসারদের সঙ্গে কোভিড-১৯ রিভিউ মিটিং করেন তিনি। সারা দেশে করোনা ভাইরাসের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পরিস্থতি খতিয়ে দেখতেই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক, যা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ পি চিদম্বরম টুইট করলেন, পশ্চিমবঙ্গ জয় করে বিজেপির সাম্রাজ্যে ঢুকিয়ে নেওয়ার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তার মধ্যেও যে কোভিড নিয়ে কিছুটা হলেও সময় বের করতে পেরেছেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। মোদি প্রায় প্রত্যেক জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি ও দিদি-ই বলে সম্বোধন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। যে টানে তিনি মমতাকে ডাকছেন, তাতে শ্লেষ, বিদ্রূপ মিশে আছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সহ নানা মহলের। একই অভিমত চিদম্বরমেরও। পি চিদম্বরম বলেছেন, এভাবে কি প্রধানমন্ত্রী একজন মুখ্যমন্ত্রীকে সম্বোধন করতে পারেন! আমি তো ভাবতে পারি না, জওহরলাল নেহরু, মোরারজি দেশাই বা বাজপেয়ী ওভাবে কথা বলছেন!আরেকটি টুইটে চিদম্বরম বলেছেন, বেশিরভাগ হাসপাতালের দরজায় নো ভ্যাকসন বোর্ড ঝুলছে, আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ভ্যাকসিন সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই বলে দাবি করছেন! চিদম্বরমের খোঁচা, মন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করুন, ভ্যাকসিন, অক্সিজেন, হাসপাতালের শয্যা, ডাক্তার, নার্স, কিছুরই অভাব নেই, অভাব শুধুই রোগীর! কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে যাবতীয় ক্ষমতা, কর্তৃত্ব থাকা সত্ত্বেও তারা যথেষ্ট সংখ্যায় কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন উত্পাদন ও সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ দেশের সামনে যে বিপর্যয় এসেছে, সেজন্য একমাত্র দায়ী কেন্দ্রই, বলেন পি চিদম্বরম।